সিঙ্গাপুরে ভয়াবহ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশী কর্মী, গত ২৪ ঘন্টায় ৩৪৪ জন আক্রান্ত, মোট ১৬৫৩ বাংলাদেশী আক্রান্ত।

হু হু বেড়েই চলেছে সিঙ্গাপুরে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। আজ বৃহস্পতিবার (১৬ই এপ্রিল) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী সিঙ্গাপুরে আজ সর্বোচ্চ রেকর্ডসংখ্যক ৭২৮ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪৪২৭ জনে পৌঁছেছে তবে আজকের আক্রান্তদের মধ্যে ৩৪৪ জনই বাংলাদেশী কর্মী। এই পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে সর্বমোট ১৬৫৩ জন বাংলাদেশী কর্মী আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৬ই এপ্রিল) নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ৬৮০ জনই বিদেশী শ্রমিক আক্রান্ত হয়েছেন। যার মধ্যে ৬৫৪ জন কর্মীদের থাকার হোস্টেল বা ডরমিটরিতে বসবাস করতেন এবং ২৬ জন বাইরে আলাদাভাবে বসবাস করেন। এদিকে অভিবাসী শ্রমিকদেরদের সর্বোচ্চ আক্রান্ত হওয়ার কারণ হিসেবে বিভিন্ন পক্ষ থেকে ভিন্ন মত দেয়া হয়েছে। তবে সিঙ্গাপুর সরকারের পক্ষ থেকে ঘনবসতি পূর্ন হোস্টেলগুলো থেকে সরিয়ে অন্যান্য জায়গায় নেয়া হচ্ছে। নোংরা ও বসবাসের অযোগ্য বিভিন্ন ডরমিটরিতে বিদেশি শ্রমিকদের আবাসন ব্যবস্থা করা হয়েছে যা নিয়ে মিডিয়াতে বারবার লেখালেখি হলেও কর্তৃপক্ষ কর্নপাত করেনি।

সিঙ্গাপুরে সবচেয়ে বড় ক্লাস্টার হিসেবে পংগল এস ১১ নামের ডরমিটরিটিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই ডরমিটরি থেকে আজকে আরো ১৮১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বিদেশি কর্মীকে শনাক্ত করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত পংগল এই ডরমিটরিটি থেকেই ৯৭৯ জন অভিবাসী কর্মী কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন৷

এ আজ সিঙ্গাপুরে ৩১ জন সুস্থ হওয়ার খবর প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যার ফলে কোভিড-১৯ এ আক্রান্তদের মধ্যে  মোট এই পর্যন্ত ৬৮৩ জন সুস্থ হয়েছেন। সিঙ্গাপুরে এখনো পর্যন্ত মোট ১০ জনের মৃত্যুর খবর প্রকাশ করা হয়েছে যেখানে ২ জনের মৃত্যুর পরে কোভিড-১৯ ভাইরাস পজিটিভ পাওয়া গেছে।

আজ আরও ৩১ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন৷ এই নিয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন ৬৮৩ জন। এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সিঙ্গাপুরে দশজনের মৃত্যু হয়েছে৷ তবে করোনাভাইরাস পজিটিভ রেজাল্ট পাবার আগেই আরো দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, ১৮৮৬ জন বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন যার মধ্যে ২৩ জনের অবস্থা গুরুতর এবং তাদেরকে আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে৷ অন্যদিকে ১৮৪৮ জনের অবস্থা মোটামুটি স্বাভাবিক পর্যায়ে থাকায় তাদেরকে অন্য রোগীদের কাছ থেকে আলাদা রাখা হয়েছে। আক্রান্ত রোগীদের বর্তমানে ইন্টারন্যাশনাল হাসপাতাল, মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল, গ্লেনেগল হাসপাতাল এবং দ্য কমিউনিটি আইসোলেশন ফ্যাকাল্টি অ্যাট ডিজোর্টে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

No comments

Theme images by Dizzo. Powered by Blogger.