ছুটিতে যাওয়া প্রবাসীরা মালয়েশিয়ায় এখনো প্রবেশ করতে পারবেন না। প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসমাইল সাবরি

প্রতিদিন অনুষ্ঠিত হওয়া সংবাদ সম্মেলনে মালয়েশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র মন্ত্রী ইসমাইল
ইয়াকুব আজ বলেছেন যে, সরকার এখনও বিদেশি নাগরিকদের বা অভিবাসী কর্মীদের মালয়েশিয়া প্রবেশ করার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা টি বহাল রেখেছে। তিনি বলেছিলেন যে বিদেশীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর থেকে কেবল

 মালয়েশিয়ার নাগরিকদের প্রবেশ উন্মুক্ত ছিল। করোনা পরিস্থিতিতে বিভিন্ন দেশে মালয়েশিয়ার নাগরিকদেরকে বিশেষ মিশন এবং বিশেষ বিমানের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। মালয়েশিয়াতে প্রবেশের জন্য এখনো শুধুমাত্র মালয়েশিয়ানদের প্রবেশই একমাত্র উন্মুক্ত রয়েছে। অন্যান্য দেশ থেকে এখনো মালয়েশিয়ানরা মালয়েশিয়াতে প্রবেশ করলে তাদেরকে 14 দিনের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়।  তবে বিদেশীদের প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা টি ঠিক কবে তুলে নেয়া হবে সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো বিবৃতি তিনি দেননি।

তবে ধারণা করা যাচ্ছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে অর্থাৎ আন্তর্জাতিক বিমান উঠানামা শুরু হওয়ার পর কোন কোন দেশের সাথে বিমান চলাচল শুরু হবে সেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি যদি প্রকট আকারে ধারণ করে হয়তো বাংলাদেশীদের প্রবেশ অন্যান্য দেশের চেয়ে দেরি হতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশিষ্টজনেরা।
এক কথায় উভয় দেশের করোনা পরিস্থিতি এবং আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার আগ পর্যন্ত বাংলাদেশিদের মালয়েশিয়ায় প্রবেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছেনা।
মালয়েশিয়াতে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলের বিষয়টি নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি সুতরাং বলা যায় বিদেশি বা অভিবাসী কর্মীদের মালয়েশিয়াতে প্রবেশ এখনো অনিশ্চিত রয়েছে। একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল যে, ইন্দোনেশিয়ার সুরবায়া 18 ই মে থেকে কুয়ালালামপুর এবং জোহর ভারতে পুনরায় ফ্লাইট চালুর পরিকল্পনা হয়েছে। কিন্তু ইসমাইল সাবরি আজ সোমবার সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়টি সত্য নয় বলে জানিয়েছেন।

 তিনি এয়ারএশিয়া ইন্দোনেশিয়া ১৮ মে সুরবায়া থেকে কুয়ালালামপুর এবং জোহর বাহরুতে ফ্লাইট পুনরায় চালু করার পরিকল্পনা নিয়ে একটি প্রতিবেদনে মন্তব্য করেছিলেন। তবে এই বিষয়ে ইসমাইল সাবরি বলেন তিনি এয়ার এশিয়ার সাথে যোগাযোগ করেছেন এবং বিষয়টি সত্য নয় বলে অভিহিত করেন। মালয়েশিয়াতে রেড জোন গুলিতে ক্রমবর্ধমান আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সরকারের পদক্ষেপের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এলাকাগুলোতে যথেষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার পাশাপাশি আক্রান্ত দলগুলোর উপরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে।

তবে যেসব অঞ্চলে বর্ধিত মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার বা (EMCO) এর মাধ্যমে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছিল সেই অঞ্চল গুলোতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমনের অগ্রগতি অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করে ইএমসিও  তুলে ফেলা হবে। উদাহরণস্বরূপ জ্বালান মসজিদ ইন্ডিয়ার আশেপাশে কাঁটাতারের বেড়া তুলে ফেলা হয়েছে। বর্তমানে অভিবাসী শ্রমিকদের মধ্যে করোনাভাইরাস এর সংক্রমণের বড় একটি গ্রুপ চিহ্নিত করতে পেরেছি।

কুয়ালালামপুরের আম্পাং অঞ্চলের ঐ কনস্ট্রাকশন সাইটে 28 জন অভিবাসী কর্মী আক্রান্ত হওয়ার পর সেখানে থাকা বাকি প্রায় ৪০০ শ্রমিকদের টেস্ট নেওয়া হয়েছিল যাদের মধ্যে 145 জন পালিয়ে গিয়েছে এবং 11 জনকে পুলিশ ইতিমধ্যে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। এলাকাটিতে বর্তমানে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে।

No comments

Theme images by Dizzo. Powered by Blogger.