আবার মালয়েশিয়া রিঙ্গিতের মান ২০ টাকার নিচে নেমে যাবার যাচ্ছে, ক্ষতিগ্রস্ত হবেন মালয়েশিয়া প্রবাসীরা। অভিবাসী কন্ঠ।

আমদানি-রপ্তানি বানিজ্যিক সম্পর্ক অত্যন্ত সুগভীর। মালয়েশিয়ার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো চীন নির্ভর হওয়ায় মালয়েশিয়ার ব্যবসায়ী পড়েছে বিপাকে। করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে চীনে বহু ফ্যাক্টরি, বন্ধ হয়েছে। তাই মালয়েশিয়ার বিভিন্ন ব্যবসায় ধস নেমেছে। মালয়েশিয়ার অর্থনৈতিক অবস্থা চরম হুমকির মুখে পড়েছে। বর্তমানে মালয়েশিয়ার জিডিপির হার ৩.৭০% এ নেমে এসেছে  যেখানে গত বছরের শেষে দিকেও ৪.৫% ছিল যা জানুয়ারী ২০২০ পর্যন্ত স্থিতিশীল থাকলে ফেব্রুয়ারিতে নিম্নমুখী হয়ে গেছে।
মালয়েশিয়ার অর্থনৈতিক অবস্থা চরম হুমকির মুখে

২০২০ সালে রিঙ্গিত এর ধীরে ধীরে বেড়ে চলছিল যা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছিলেন মালয়েশিয়ার অর্থনীতিবিদগন। গেল মাসে মালয়েশিয়ার স্বনামধন্য সংবাদ মাধ্যম মালয়েশিয়াকিনিতে একজন অর্থনীতিবিদ এই সাক্ষাৎকার দিয়েছেন যে

গেল কয়েক বছর মালেশিয়া আন্তর্জাতিকভাবে ঋনগ্রস্ত ছিল তাই এর প্রভাবটা মালয়েশিয়ার মুদ্রার বাজারে ব্যাপকভাবে পড়েছিল। কিন্তু আন্তর্জাতিক ঋন এর চাপ থেকে মালয়েশিয়া অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছে। তাই সাথে সাথে বেড়ে চলেছে মুদ্রার মান। উল্লেখ্য ২০১৬ সালের মালয়েশিয়ান রিঙ্গিতে ভয়াবহ পতন হয়েছিল যা ১৬ টাকা পর্যন্ত নেমেছিল। কিন্তু ২০১৩ এবং ২০১৪ সালে সেটা ২৬-২৭ টাকা মধ্যেই ছিল। ২০১৫ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত মালয়েশিয়ার

 রিঙ্গিত এর মান ১৮-২০ টাকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু ২০২০ সালে তা ২১ টাকা পর্যন্ত উঠে যায়। ২০২০ সালে ক্রমাগত মালয়েশিয়ার অর্থনৈতিক অবস্থা আরও উন্নত হত থাকবে এমনটাই আশা করা হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি চীনে ছড়িয়ে যাওয়া করোনা ভাইরাস মারাত্মক আকারে ধারণ করায় সারাবিশ্বের অর্থনীতি অনেকটা চাপের মধ্যেই পড়ে গেছে বলা চলে। চীনের সাথে যেসব দেশের ব্যবসা-বানিজ্যের যোগাযোগ সবচেয়ে বেশি তারমধ্যে অন্যতম দেশ হচ্ছে মালয়েশিয়া। চীন থেকে বিভিন্ন ধরনের পন্য আমদানি ও রপ্তানি করে মালয়েশিয়া। এই দুই দেশের মধ্যে

আমদানি-রপ্তানি বানিজ্যিক সম্পর্ক অত্যন্ত সুগভীর। মালয়েশিয়ার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো চীন নির্ভর হওয়ায় মালয়েশিয়ার ব্যবসায়ী পড়েছে বিপাকে। করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে চীনে বহু ফ্যাক্টরি, বন্ধ হয়েছে। তাই মালয়েশিয়ার বিভিন্ন ব্যবসায় ধস নেমেছে। মালয়েশিয়ার অর্থনৈতিক অবস্থা চরম হুমকির মুখে পড়েছে। বর্তমানে মালয়েশিয়ার জিডিপির হার ৩.৭০% এ নেমে এসেছে  যেখানে গত বছরের শেষে দিকেও ৪.৫% ছিল যা জানুয়ারী ২০২০ পর্যন্ত স্থিতিশীল থাকলে ফেব্রুয়ারিতে নিম্নমুখী হয়ে গেছে।

 মালয়েশিয়ার মুদ্রার বাজার যেখানে ভালো একটা অবস্থানে যাচ্ছিলো সেখানে বর্তমানে মুদ্রার বাজার নিম্নমুখী হয়ে যাচ্ছে দিনের পর দিন। রিঙ্গিতের মান যেখানে ২১ টাকার উপর উঠেছিল সেখানে আবার ২০ টাকার নিচে নেমে যাবার আশংকা সৃষ্টি হয়েছে এতে মালয়েশিয়ায় বসবাসকারী প্রবাসীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে বলে ধারণা করেছেন প্রবাসীদের অনেকেই।

 চীনের সাথে সারাবিশ্বের সব ধরনের যোগাযোগ অনেক বাধাগ্রস্ত হওয়ার দরুন এই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞগণ। এদিকে চীনের টুরিস্টদের প্রতি নিষেধাজ্ঞা ও কড়াকড়ি আরোপ হওয়ায় মালয়েশিয়া প্রায় টুরিস্ট শূন্য হয়ে পড়েছে। সব মিলিয়ে করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণেই মালয়েশিয়াতে এসব সমস্যা দেখা দিয়ে যা এভাবে চলতে থাকলে মালয়েশিয়ার অর্থনৈতিক অবস্থা চরম পর্যায়ে

 পৌছাবে বলে ধারণা করা যাচ্ছে। আর এতে সকল ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি মালয়েশিয়ায় কর্মরত বিদেশি শ্রমিকরাও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন কারণ অনেকেরই ওভারটাইম কমে গেছে। কোম্পানির রপ্তানি ও আমদানি বন্ধ বা সীমিত উৎপাদন হওয়ায় শ্রমিকদের বাড়তি কাজের পারিশ্রমিকও মুল বেতনের সাথে যোগ হচ্ছেনা। এ নিয়ে মালয়েশিয়ার অভিবাসী কমিউনিটির মধ্যে প্রচুর হতাশা ও উদ্বেগ লক্ষ্য করা গেছে।

No comments

Theme images by Dizzo. Powered by Blogger.