মালয়েশিয়ার অবৈধ কর্মীদের প্রতি গুরুত্ব দিতে সরকারের প্রতি কোম্পানি মালিকদের আহ্বান। বিস্তারিত পড়ুন

মালয়েশিয়াতে অবস্থানরত ডকুমেন্টেড বা বৈধ অভিবাসী কর্মীদের ক্ষেত্রে করোনা ভাইরাস  (কোভিড-১৯) এর বিস্তার নিয়ন্ত্রণ খুব কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে তবে আনডকুমেন্টেড বা অবৈধ অভিবাসী কর্মীদের ক্ষেত্রেও আরও বেশি করে
বিদেশি কর্মীদের করোনা টেস্ট করার লম্বা লাইন, (photo Source: Malaysia Gazette)

পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে আহ্বান জানিয়েছেন বিভিন্ন কোম্পানির মালিক বা নিয়োগকর্তাগণ। মালয়েশিয়ার এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের (এমইএফ) নির্বাহী পরিচালক দাতুক শামসুদ্দীন বরদান বলেছেন, অবৈধ শ্রমিকদের মধ্যে এই ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ও উদঘাটন করা কঠিন ছিল কারণ তারা কোন রিকম চিকিৎসা বীমা কিংভা সরকারি কোন সেবার অন্তর্ভুক্ত নয়। তিনি বলেছিলেন যে অবৈধ অভিবাসী কর্মীরা জালান মসজিদ ইন্ডিয়ার ভবন গুলোতেও বসবাস করতে পারে। শামসুদ্দিন

বলেছেন, দেশে ৩.৩ মিলিয়ন বা ৩০ লাখেরও অবৈধ শ্রমিক থাকতে পারে যেখানে ২.২ মিলিয়ন ২০ লাখেরও বেশি নথিভুক্ত কর্মী রয়েছে। তিনি আর বলেন "রক্ষণশীল অনুমান" দেশে অবৈধ অভিবাসী কর্মীদের সংখ্যা বৈধ কর্মীদের সাথে মিলিয়ে দেয়া হয়েছে। আবারও অনেকে মনে করছেন যে প্রতিটি বৈধ কর্মীর বিপরীতে ১.৫ জন বা দেড় জন অবৈধ অভিবাসী কর্মী রয়েছেন। এক্ষেত্রে অবৈধ কর্মীদের মাঝে করোনা বিস্তার রোধে সরকারকে আরও

 কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া আহ্বান। শামসুদ্দীন উল্লেখ করেন যে,  অভিবাসী কর্মীদের মধ্যে কোভিড -১৯ সংক্রমণ বর্তমানে ৬০০ ছাড়িয়ে গেছে যা মোট সংখ্যার ০.৩ শতাংশ। ১লা এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার  (এমসিও) এর  দ্বিতীয় ধাপের আওতায় কুয়ালালামপুরে তিনটি আবাসিক ভবনে করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর সেখানের বাসিন্দাদের অতি জরুরি নিয়ন্ত্রণের আওতায় রাখা হয়েছিল যেখানে সর্বোচ্চ পরিমাণে অভিবাসী কর্মীদের বসবাসের কথা বলা হয়েছে। অভিবাসীরা জালান মসজিদ ইন্ডিয়ার সেলানগর ম্যানশন ও মালায়ান ম্যানশন ভবনে এবং জালান মুন্সী আবদুল্লাহর মিনারা সিটি ওয়ান

 কনডোমিনিয়ামে যারা রয়েছেন তাদের বেশিরভাগই বিদেশি কর্মী বলে অভিহিত করা হয়েছে। এই তিনটি ভবনে ১২০ জনেরও বেশি সংক্রমণ হয়েছে ব্লে জানা গেছে। গত শনিবার স্বাস্থ্য মহাপরিচালক দাতুক ডাঃ নূর হিশাম আবদুল্লাহ বলেছিলেন, মন্ত্রণালয় বিদেশী কর্মীদের বৃহত আকারে হেলথ স্ক্রিনিং টেস্ট এর কাজ শুরু করা হবে। শামসুদ্দিন বলেন, এম'সি'ওর তৃতীয় ধাপে পরিচালিত কোম্পানিগুলোর আন্ডারে কাজ করা কর্মীদের প্রথমেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে। তারা সবাই কাজে যোগদানের পূর্বে স্বাস্থ্য

পরীক্ষা সার্টিফিকেট গ্রহন করে কাজে প্রবেশের অনুমতি পাবে। বিদেশি কর্মীরা মালয়েশিয়ার সামাজিক সুরক্ষা সংস্থা (সো'ক'সো) এর মাধ্যমে নিবন্ধিত হয়ে হেলথ স্ক্রিনিং টেস্ট কার্যক্রমে অংশ গ্রহন করতে হবে। বর্তমানে ৭ লক্ষ কর্মী রয়েছেন যারা তাদের কোম্পানির মাধ্যমে নিবন্ধিত হতে হবে।

এই খবর গুলোও পড়তে পারেন
👇
"কুয়ালালামপুরের পাইকারি বাজারে ২৮ জন আক্রান্ত, ১ জনের মৃত্যু। দুই লক্ষ বাসিন্দা অবরুদ্ধ", বিস্তারিত
👇
"মালয়েশিয়াতে রোহিঙ্গারা নাগরিকত্ব দাবী করছে, স্থানীয় নাগরিকদের মাঝে ক্ষোভ"৷ বিস্তারিত

"মালয়েশিয়াতে বিদেশীরাও  লকডাউন লঙ্ঘন করছে, ৩ হাজার ২১০ জন গ্রেফতার" বিস্তারিত



শামসুদ্দিন আর বলেন, তারা যদি স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে চান তাহলে সোকসোর মাধ্যমে খরচ বহন করার মাধ্যমে অংশগ্রহণ ও নিবন্ধিত হতে হবে। তিনি বলেছিলেন যে বৈধ নিবন্ধিত বিদেশী কর্মীরা চিকিৎসা সম্পর্কিত কোনও সমস্যার মুখোমুখি হবেন না কারণ তারা বিদেশী কর্মীদের চিকিৎসা সেবার বীমা প্রকল্প গুলোতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।

তিনি আরও জানান যে, মালয়েশিয়ার কর্মসংস্থান আইনের অধীনে কোম্পানি মালিক বা নিয়োগকর্তারা বিদেশী কর্মীদের চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত বিমা ফি প্রদানে দায়বদ্ধ ছিল। এদিকে, মালয়েশিয়ার জাতিসংঘের হাই কমিশনার শরণার্থী (ইউএনএইচসিআর) শরণার্থীদের মধ্যে কোভিড -১৯ সংক্রমণ পরিচালনার জন্য সরকারের সাথে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে।

No comments

Theme images by Dizzo. Powered by Blogger.