অভিবাসী কর্মীদের বিলাসবহুল জাহাজে থাকার জায়গা দিয়েছে সরকার! বিস্তারিত পড়ুন

কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হওয়া ১৪০০ জন অভিবাসীকে সিঙ্গাপুরের মেরিনা বে ক্রুজ সেন্টারের ভাসমান ২টি বিলাসবহুল জাহাজে অস্থায়ীভাবে থাকতে দেয়া হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার 14 ই মে সিঙ্গাপুর ট্যুরিজম বোর্ডের ডিরেক্টর মিস এনিথিং জানিয়েছেন যে জাহাজগুলোতে সকলের স্বাস্থ্য এবং সুরক্ষা ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে

বিলাসবহুল জাহাজে অবস্থানকারী অভিবাসীদের কে নির্দিষ্ট সময়ে বাইরে বের হওয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে যাতে করে তারা অবসর সময় গুলো বিনোদন উপভোগ করার মাধ্যমে শরীর ও মন প্রফুল্ল রাখতে পারে।

জাহাজে অবস্থানকারী এক বাংলাদেশী প্রবাসী বলেন সুস্থ হয়ে ফিরে আসার পর যখন আমাদেরকে জাহাজে থাকতে দেয়া হয় তখন কিছুটা ভয় ও আতঙ্ক বিরাজ করছিল আমাদের মাঝে। কিন্তু যখন এখানে দেখেছি আমাদের সকল যত্নের মাধ্যমে খাবার দাবা, বিনোদন এবং সকল ধরনের সুবিধা দেয়া হচ্ছে এগুলো পেয়ে আমরা সত্যি অভিভূত। আমি একজন সাধারণ শ্রমিককে সরকার এভাবে মূল্যায়ন করবে আগে ভাবতে পারিনি। আমাদের শ্রমিকদের প্রতি এভাবে সম্মান আর ভালবাসা সবাইকে মুগ্ধ করেছে।

সেখানে বসবাসকারী অন্যান্য অভিবাসী কর্মীরা জানায় যে, এখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বসবাসের সকল পদ্ধতি কার্যকর করা হয়েছে। বিনোদনের জায়গা গুলোতেও ১ মিটার দূরত্ব বজায় রেখে চেয়ার গুলোর বিন্যাস করা হয়েছে।
জাহাজের প্রতিটি কক্ষে ২ জন করে থাকতে দেয়া হয়েছে। এখানে সকল ধরনের সেবার পাশাপাশি অসুস্থ হয়ে পড়লে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে জাহাজেই।

জাহাজে শ্রমিকদের সহায়তা করার জন্য প্রায় ২০০ জন কর্মচারী রয়েছে। তাদেরকে নিরাপত্তা বিধি সম্পর্কে তথ্য প্রদান এবং প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। দায়িত্ব পালনের সময় তারা ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জামাদি (PPE) ব্যবহার করছে। তাদেরকেও প্রতিদিন শরীরের তাপমাত্রা চেক করা হয় এবং জাহাজের ক্রুদের প্রচলিত সামাজিক দূরত্ব ব্যবস্থা তাদের মেনে চলতে হয়৷

সিঙ্গাপুরের ডাক্তার ও নার্সরা দিনরাত মেহনত করে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের সেবা করে যাচ্ছেন। তাদের সেবা ও আন্তরিকতায় অনেকেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন৷ গতকাল ১৫ই মে পর্যন্ত ৭,২৪৮ জন সুস্থ হয়েছে এবং ১৮,৪৯৮ জনকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে যারা শারীরিকভাবে সুস্থ, তবে পরীক্ষায় তাদের শরীরে এখনো কোভিড-১৯ পজিটিভ রয়েছে৷

মঙ্গলবার জাতীয় উন্নয়নমন্ত্রী লরেন্স ওয়াং বলেছিলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এমন প্রায় ২০ হাজার শ্রমিককে মে মাসের শেষের দিকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হবে৷ তিনি আরো বলেন, আগামী মাসে আরো শ্রমিক ছাড়পত্র পাবেন এবং তারা পুনরায় কাজ শুরু করতে প্রস্তুত।

No comments

Theme images by Dizzo. Powered by Blogger.