কুয়ালালামপুরে ইমিগ্রেশন ক্যাম্পে আটক থাকা বাংলাদেশীসহ ৩৫ জন করোনায় আক্রান্ত।
মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের বুকিত জলিল ইমিগ্রেশন ডিপোতে আটককৃত অভিবাসী কর্মীদের একটি দল আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সুত্র মতে ইমিগ্রেশনের সম্প্রতি আটক হওয়া অভিবাসীদের মধ্যে এই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে।
গতকাল ২১ শে মে ২০২০, বিকাল ৪.৩০ টায় প্রতিদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক দাতু ডাঃ নুর হিশাম বলেন, এখন পর্যন্ত ৬৪৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করে দেয়া হয়েছিল। এর মধ্যেই ৩৫ জনের আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া গেছে। ৪৯০ জনের ফলাফল নেগেটিভ এসেছে বা আক্রান্ত হয়নি। বাকি ২১০ জনের ফলাফল এখনো পাওয়া যায়নি, ফলাফল অপেক্ষমাণ রয়েছে। আজকের মধ্যে ফলাফল জানা যেতে পারে।
এই ৩৫ জনের মধ্যে মিয়ানমারের ১৭ জন, ভারতীয় ১৫ জন, শ্রীলঙ্কান ১ জন, বাংলাদেশী ১ জন এবং মিশরে ১ জন রয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় হতে ইমিগ্রেশন ক্যাম্পগুলোতে কড়া নজরদারি ও স্বাস্থ্য সচেতনতার বিষয় গুলো তদারকি করতে তাগিদ দেয়া হয়েছে। করোনা প্রতিরোধে জীবানুমুক্তকরণ, সকল স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার প্রশিক্ষণ এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। তবে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন ক্যাম্পগুলোতে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব ঠিক কতটা অনুশীলন করার মত পরিবেশ রয়েছে সেটা সন্দিহান বিষয়।
তবে আশা করা যায় ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ পক্ষ এই বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করার পাশাপাশি কার্যকরী পদক্ষেপ নিবেন। মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্য মহাপরিচালক দাতু ডাঃ নুর হিশাম জানিয়েছেন, ইমিগ্রেশনের প্রাথমিক ক্যাম্পে গ্রেফতারকৃত অভিবাসীদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার রহস্য এখনো তদন্ত করা হচ্ছে। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিয়মিতই ইমিগ্রেশন ক্যাম্প এবং আটক কেন্দ্র গুলো স্বাস্থ্য সেবা সরবারাহের পাশাপাশি সমস্ত বিষয় তদারকি করছে।
এর জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় হতে মেডিকেল অফিসার, সহকারী মেডিকেল অফিসার, প্রশিক্ষিত নার্স এবং কমিউনিটি নার্সগণ রয়েছেন। যেসব ক্ষেত্রে নিবিড় পরিচর্যা ও যত্ন নেয়া প্রয়োজন এবং বিশেষ করে জরুরি ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক হাসপাতালে প্রেরণ ও বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা গুলো প্রদান করবে।
কোভিড-১৯ এ সংক্রমণের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণরুপে শনাক্তকরণ নিশ্চিত করার জন্য সকল জেলা স্বাস্থ্য অফিসের মাধ্যমে MOH একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও পদ্ধতির সাহায্যে পরবর্তী পদক্ষেপ বাস্তবায়নে এগিয়ে যাবে যেমন কারো আক্রান্ত হওয়ার বিষয়ে যেন কোন তদন্তের প্রয়োজন না হয়, পারস্পরিকভাবে সংক্রমণ ছড়িয়ে যেন যায়, আক্রান্তদের শনাক্তকরণের প্রক্রিয়া অবলম্বন, আক্রান্ত রোগীদের আলাদা করে হসপিটালে ভর্তি করাসহ আইনিভাবে আইনী 342 এর ধারা 15 (1) এর অধীনে COVID-19 যোগাযোগ পর্যবেক্ষণ ও পর্যবেক্ষণ আদেশের আওতায় রাখা হবে।
মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় (MOH) মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ, রয়্যাল মালয়েশিয়ান পুলিশ এবং অন্যান্য সরকারী সংস্থাগুলির সাথে ইমিগ্রেশন ডিটেনশন ডিপোতে রাখা আটক অভিবাসীদের কোভিড-১৯ আক্রান্তদের পর্যালোচনার কাজ চালিয়ে যাবে।
আরও পড়তে পারেন
👇
ব্রেকিং নিউজঃ মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী করোনা ঝুঁকি সন্দেহে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেনটাইনে
👇
বিদেশিদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কড়া নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী তানশ্রী মুহিউদ্দিন
মালয়েশিয়ার সকল নিউজ সবার আগে পেতে আমাদের পেইজ গুলো ফলো/লাইক দিয়ে রাখুন
অভিবাসী কন্ঠ
মালয়েশিয়া প্রবাস বাংলা নিউজ
মালয়েশিয়া প্রবাসী কল্যাণ-Malaysia Probashi
মালয়েশিয়ার যে কোন নিউজ আমাদের জানাতে পারেন, আপনার সুবিধা অসুবিধার সকল বিষয়ে কোন ধরনের প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকলে আমাদের মেসেজ করে জানাতে উপরের পেইজ গুলোর ইনবক্সে ।
গতকাল ২১ শে মে ২০২০, বিকাল ৪.৩০ টায় প্রতিদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক দাতু ডাঃ নুর হিশাম বলেন, এখন পর্যন্ত ৬৪৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করে দেয়া হয়েছিল। এর মধ্যেই ৩৫ জনের আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া গেছে। ৪৯০ জনের ফলাফল নেগেটিভ এসেছে বা আক্রান্ত হয়নি। বাকি ২১০ জনের ফলাফল এখনো পাওয়া যায়নি, ফলাফল অপেক্ষমাণ রয়েছে। আজকের মধ্যে ফলাফল জানা যেতে পারে।
এই ৩৫ জনের মধ্যে মিয়ানমারের ১৭ জন, ভারতীয় ১৫ জন, শ্রীলঙ্কান ১ জন, বাংলাদেশী ১ জন এবং মিশরে ১ জন রয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় হতে ইমিগ্রেশন ক্যাম্পগুলোতে কড়া নজরদারি ও স্বাস্থ্য সচেতনতার বিষয় গুলো তদারকি করতে তাগিদ দেয়া হয়েছে। করোনা প্রতিরোধে জীবানুমুক্তকরণ, সকল স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার প্রশিক্ষণ এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। তবে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন ক্যাম্পগুলোতে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব ঠিক কতটা অনুশীলন করার মত পরিবেশ রয়েছে সেটা সন্দিহান বিষয়।
তবে আশা করা যায় ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ পক্ষ এই বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করার পাশাপাশি কার্যকরী পদক্ষেপ নিবেন। মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্য মহাপরিচালক দাতু ডাঃ নুর হিশাম জানিয়েছেন, ইমিগ্রেশনের প্রাথমিক ক্যাম্পে গ্রেফতারকৃত অভিবাসীদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার রহস্য এখনো তদন্ত করা হচ্ছে। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিয়মিতই ইমিগ্রেশন ক্যাম্প এবং আটক কেন্দ্র গুলো স্বাস্থ্য সেবা সরবারাহের পাশাপাশি সমস্ত বিষয় তদারকি করছে।
এর জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় হতে মেডিকেল অফিসার, সহকারী মেডিকেল অফিসার, প্রশিক্ষিত নার্স এবং কমিউনিটি নার্সগণ রয়েছেন। যেসব ক্ষেত্রে নিবিড় পরিচর্যা ও যত্ন নেয়া প্রয়োজন এবং বিশেষ করে জরুরি ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক হাসপাতালে প্রেরণ ও বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা গুলো প্রদান করবে।
কোভিড-১৯ এ সংক্রমণের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণরুপে শনাক্তকরণ নিশ্চিত করার জন্য সকল জেলা স্বাস্থ্য অফিসের মাধ্যমে MOH একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও পদ্ধতির সাহায্যে পরবর্তী পদক্ষেপ বাস্তবায়নে এগিয়ে যাবে যেমন কারো আক্রান্ত হওয়ার বিষয়ে যেন কোন তদন্তের প্রয়োজন না হয়, পারস্পরিকভাবে সংক্রমণ ছড়িয়ে যেন যায়, আক্রান্তদের শনাক্তকরণের প্রক্রিয়া অবলম্বন, আক্রান্ত রোগীদের আলাদা করে হসপিটালে ভর্তি করাসহ আইনিভাবে আইনী 342 এর ধারা 15 (1) এর অধীনে COVID-19 যোগাযোগ পর্যবেক্ষণ ও পর্যবেক্ষণ আদেশের আওতায় রাখা হবে।
মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় (MOH) মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ, রয়্যাল মালয়েশিয়ান পুলিশ এবং অন্যান্য সরকারী সংস্থাগুলির সাথে ইমিগ্রেশন ডিটেনশন ডিপোতে রাখা আটক অভিবাসীদের কোভিড-১৯ আক্রান্তদের পর্যালোচনার কাজ চালিয়ে যাবে।
আরও পড়তে পারেন
👇
ব্রেকিং নিউজঃ মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী করোনা ঝুঁকি সন্দেহে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেনটাইনে
👇
বিদেশিদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কড়া নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী তানশ্রী মুহিউদ্দিন
মালয়েশিয়ার সকল নিউজ সবার আগে পেতে আমাদের পেইজ গুলো ফলো/লাইক দিয়ে রাখুন
অভিবাসী কন্ঠ
মালয়েশিয়া প্রবাস বাংলা নিউজ
মালয়েশিয়া প্রবাসী কল্যাণ-Malaysia Probashi
মালয়েশিয়ার যে কোন নিউজ আমাদের জানাতে পারেন, আপনার সুবিধা অসুবিধার সকল বিষয়ে কোন ধরনের প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকলে আমাদের মেসেজ করে জানাতে উপরের পেইজ গুলোর ইনবক্সে ।
No comments