হাদীসের আলোকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা, শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য।

হাদীসের আলোকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল যা নিম্নে অত্যন্ত সহজভাবে বর্ননা করা হয়েছে।

👉 একজন নেককার মহিলা ৭০জন আউলিয়ার চেয়েও উত্তম।

👉একজন বদকার মহিলা এক হাজার বদকার পুরুষের চেয়ে নিকৃষ্ট।
হাদীসের আলোকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল যা নিম্নে অত্যন্ত সহজভাবে বর্ননা করা হয়েছে।    👉 একজন নেককার মহিলা ৭০জন আউলিয়ার চেয়েও উত্তম।    👉একজন বদকার মহিলা এক হাজার বদকার পুরুষের চেয়ে নিকৃষ্ট।
হাদীসের আলোকে কিছু আমল Hadith For woman

👉একজন গর্ভবতী মহিলার দু'রাকাত সালাত গর্ভহীন মহিলার ৮০ রাকাত সালাতের চেয়ে উত্তম।

👉 গর্ভবতী মহিলার প্রত্যেক রাতের এবাদত ও দিনগুলো রোযা হিসেবে গণ্য করা হয়।

👉 একটি সন্তান ভূমিষ্ঠ হলে ৭০ বৎসরের নামায-রোযার নেকী তার আমলনামায় লিখা হয়।

👉 প্রসবের সময় যে তীব্র যন্ত্রণা, তীব্র ব্যাথা-বেদনা হয় প্রতিবারের ব্যাথা-বেদনার বিপরীতে হজের ছওয়াব দান করা হয়।

👉 সন্তান জন্মগ্রহণের ৪০ দিনের মধ্যে মারা গেলে তাকে শাহাদাতের মর্যাদা দান করা হয়।

👉 যে মহিলা বাচ্চাকে দুধ পান করান, তিনি প্রতিটি  দুধের ফোঁটার বিনিময়ে এক একটি নেকী আমলনামায় লেখা হয়।

👉যদি বাচ্চা কাঁদে আর 'মা' কোন প্রকার বদ দোয়া না দিয়ে তাকে দুধ পান করান, আল্লাহ তাকে এক বৎসরের নামায ও এক বৎসরের নেকী দান করেন।

👉 যখন বাচ্চার দুধ পান করানো হয়ে যায়, তখন আসমান থেকে একজন ফেরেশতা অবতীর্ণ হয়ে সে মাকে সুসংবাদ দান করে যে, আল্লাহপাক তোমার জন্য জান্নাত ওয়াজীব করে দিয়েছেন।

👉 যে মহিলা বাচ্চার কান্নার জন্যে ঘুমাতে পারেন না, তিনি ২০ জন গোলাম আযাদ করার নেকী পান।

👉 যে মহিলা তার অসুখের কারণে কষ্ট ভোগ করেন এবং তারপরও সন্তানের সেবা করেন আল্লাহপাক এ মহিলার পিছনের সব গুনাহ মাফ করে দেন এবং ১২ বৎসরের ইবাদতের ছাওয়াব দান করেন।

👉 স্বামী পেরেশান হয়ে ঘরে আসলে যে স্ত্রী স্বামীকে খোশ-আমদেদ বলে এবং সান্ত্বনা দেয়, তিনি জেহাদের অর্ধেক নেকী লাভ করেন।

👉 যখন স্বামী-স্ত্রী একে অন্যের প্রতি মহব্বতের দৃষ্টিতে তাকান, তখন আল্লাহপাকও তাদের প্রতি মহব্বতের দৃষ্টিতে তাকান।

👉 যে মহিলা স্বামীকে আল্লাহর রাস্তায় পাঠান ও নিজেকে হেফাযত করেন এবং ঘরে থাকেন, তিনি পুরুষের ৫০০ বৎসর পূর্বে বেহেশতে প্রবেশ করবেন এবং ৭০ হাজার ফেরেশতা তাকে স্বাগত জানাবে এবং তিনি হুরদের নেত্রী হবেন। তাকে বেহেশতে গোসল দেওয়া হবে। সে ইয়াকুতের ঘোড়ার সওয়ার হয়ে স্বামীর জন্য অপেক্ষা করবে।

👉 যে স্ত্রী স্বামীর অবাধ্য, তার নামায ও অন্যান্য এবাদত আসমানের উপরে উঠে না।

👉 স্বামী যখন বাহির থেকে ঘরে ফিরে আসেন, তখন যদি স্ত্রী তাকে খানা খাওয়ান ও স্বামীর অনুপস্থিতিতে কোন খেয়ানত না করেন, তবে আল্লাহপাক সে স্ত্রীকে ১২ বৎসরের নামাযের সওয়াব দান করেন।

👉 স্বামী স্ত্রীকে একটি মাসআলা শিক্ষা দিলে ৮০ বৎসরের এবাদতের সমান সওয়াব পাবেন।

👉 যে পবিত্র মহিলা নামায-রোযার পাবন্দী করেন ও স্বামীর খেদমত করেন তার জন্য বেহেশতের ৮টি দরজা খুলে দেওয়া হয়।

👉 যে মহিলা যিকিরের সাথে ঘর ঝাড়ু দেয়, আল্লাহপাক তাকে "কাবাঘর" ঝাড়ু দেওয়ার সওয়াব দান করেন।       

👉 যে মহিলা "বিসমিল্লাহ" বলে খাবার প্রস্তুুত করেন আল্লাহপাক তার রুজির মধ্যে বরকত দান করেন।

👉 যে স্ত্রী তার স্বামীর সন্তুষ্টি অবস্থায় মারা যায়, তার জন্য বেহেশত ওয়াজিব।

👉 যে মহিলা পর্দা করে না, অন্য পুরুষকে নিজের দিকে আকৃষ্ট করে, ঐ সমস্ত মহিলা বেহেশতে যাবে না, এমনকি বেহেশতের সুঘ্রাণও পাবে না।

মহান রাব্বুল আলামিনের আমাদের এইসকল নেক আমল করার তৌফিক দান করুক। এই নেক আমলের গুরুত্বপূর্ণ লেখাগুলো আমরা যেন সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারি, সেই দোয়া করি।

লেখাঃ মোঃ সারোয়ার হোসেন
উৎসঃ ইন্টারনেট

No comments

Theme images by Dizzo. Powered by Blogger.