তুন মাহাথির এর সাথে মন্ত্রী জনাব ইমরান আহমদের বৈঠক, কলিং ভিসাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।

ইমরান আহমদ ও মাহাথির এর সাক্ষাৎ, অভিবাসী কন্ঠ 

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গে তার সরকারি বাসভবনে বৈঠকে মিলিত হন।


আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় প্রবাসী কল্যান ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির মোহাম্মদের সাথে তাঁর সরকারি বাসভবনে এক বিশেষ বৈঠকে একত্রিত হন।

বৈঠকে জনাব ইমরান আহমদ মালয়েশিয়া কতৃক স্থগিত থাকা শ্রমবাজার দ্রুত খুলে দেয়া এবং সে দেশে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিভিন্ন ধরনের সুবিধা ও অসুবিধা নিয়ে আলোচনা করেন। সে সময় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা উপস্থিত ছিলেন।"

গত বুধবার প্রবাসী কল্যান ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রীর নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল পুত্রাজায়ার পার্লামেন্ট ভবনে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী কুয়ালাসেগারানের সাথে বৈঠকে মিলিত হন। উক্ত সভায় দুইদেশের প্রতিনিধিগণের সাথে শ্রম বাজার ও অভিবাসন নীতি নিয়ে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা হয়।


উক্ত সভার প্রেক্ষিতে জানা যায়, চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর প্রস্তাব দেয়া যেখানে মালয়েশিয়া ইতিবাচক ভাব প্রকাশ করে। তারই অংশ হিসেবে আগামী ২৪ বা ২৫ নভেম্বর ঢাকায় মালয়েশিয়ার একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় আসার কথা রয়েছে।। তবে আগামী বৈঠকে নিরাপদ অভিবাসন ও দুর্নীতি মুক্ত শ্রম বাজার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আরও বেশকিছু দিকনির্দেশনা প্রস্তাব করতে পারে মালয়েশিয়ার প্রতিনিধি দল। এসব প্রস্তাবে বাংলাদেশ একমত হলেই চালু হবে কাংখিত কলিং ভিসা।



উভয় দেশের মন্ত্রী নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশি শ্রমিকদের নিয়োগ, কর্মসংস্থান ও প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াকে মানসম্মত ও সহনশীলতা বজায় রাখার তাগিদ দেন। এছাড়া অবৈধ নিয়োগের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের অপচেষ্টা রোধে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার কথাও জানান।


দুই দেশের মধ্যে যেসব সিদ্ধান্ত হয়েছে

👉 দুই দেশের যৌথ ও সমন্বিত প্রচেষ্টায় অভিবাসন খরচ একটি গ্রহণযোগ্য ও শ্রমিকদের জন্য সহনশীল সীমার মধ্যে রাখা।

👉 শ্রমিক রপ্তানির ক্ষেত্রে দুই দেশের সরকার এবং নিয়োগ সংস্থারগুলোর  অংশগ্রহণের একটি সুষ্ঠু প্রক্রিয়া নির্ধারণ করা।

👉 সক্ষমতা, নির্ভরযোগ্যতা ও দক্ষতার মানদণ্ড বজায় রেখে নিয়োগ এজেন্সিগুলোকে একটি  প্রতিযোগিতামূলক বাজার ও অভিবাসন খরচ কম রাখতে উৎসাহিত করা।

👉 সকল ব্যবসায়িক প্রক্রিয়া অন্তর্ভুক্ত করে নিরাপদ, সর্বজনীন ও একীভূত অনলাইন পদ্ধতি চালু করা। এতে উভয় সরকারের স্বচ্ছতা, দক্ষতা ও কার্যকারিতা নিশ্চিত হবে।

এছাড়াও বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য সামাজিক সঞ্চয় প্রকল্প বাস্তবায়নের বিষয়ে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রীর প্রস্তাবের বিষয়ে মতবিনিময়; স্বাস্থ্য পরীক্ষা প্রক্রিয়া এবং বাংলাদেশ সরকার উত্থাপিত ব্যয় সম্পর্কিত বিষয়ে তদন্তের জন্য বৈঠকে মন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

উল্লেখ্য যে, গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর থেকে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর অনলাইন পদ্ধতি এসপিপিএ বন্ধ করে দেয় মালয়েশিয়ার সরকার। তারই প্রেক্ষিতে সে সময় প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি মালয়েশিয়ায় গিয়ে বৈঠক করলেও শ্রমবাজার চালু করা সম্ভব হয়নি।

No comments

Theme images by Dizzo. Powered by Blogger.