বাংলাদেশের কলিং ভিসার বৈঠক স্থগিত করে ভারতে গিয়েছেন মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী কুয়ালা এম সেগারান।

নভেম্বরের  ২৪ ও ২৫ তারিখ মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার নিয়ে চূড়ান্ত বৈঠক ও সিদ্ধান্ত হওয়ার জন্য মালয়েশিয়ার প্রতিনিধি দল ঢাকায় আসবেন।
ঠিক এমন ঘোষণা দেয়া হয়েছিল সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে। শ্রম ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নিজেও কয়েকটি প্রেস ব্রিফিংয়ে এমনটাই বলেছেন। 

নভেম্বরের  ২৪ ও ২৫ তারিখ মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার নিয়ে চূড়ান্ত বৈঠক ও সিদ্ধান্ত হওয়ার জন্য মালয়েশিয়ার প্রতিনিধি দল ঢাকায় আসবেন। ঠিক এমন ঘোষণা দেয়া হয়েছিল সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে। শ্রম ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নিজেও কয়েকটি প্রেস ব্রিফিংয়ে এমনটাই বলেছেন।
মানবসম্পদ মন্ত্রী কুয়ালা এম সেগারান, অভিবাসী কন্ঠ

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারের আকাশে যেন কালো মেঘের ঘনঘটা। কোন রকম কারণ জানানো ছাড়াই বৈঠকটি আপাতত স্থগিত করে মালয়েশিয়ার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। বহুল কাঙ্খিত, আলোচিত, সমালোচিত জি টু জি প্লাস কলিং ভিসা যেন থমকে গেছে আরেকবার।

বাংলাদেশের তরফ থেকে বলা হয়েছে যে, মালয়েশিয়া কেন হঠাৎ বৈঠকটি স্থগিত করেছে সেটার সঠিক কারণ তারা উল্লেখ করেনি। কিন্তু বাংলাদেশের সফরটি স্থগিত করে ভারত সফরে গিয়েছেন মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী কুয়ালা এম সেগারান। তারই মালয়েশিয়ার প্রতিনিধি দলকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশের বৈঠকে নেতৃত্ব দেয়ার কথা ছিল।

বৈঠকটি স্থগিতের ঘোষণা সম্পর্কে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয় যে, মালয়েশিয়ার অভ্যন্তরীণ কারণেই বৈঠকটি আপাতত স্থগিত করা হয়েছে কিন্তু সঠিক কোন কারণ তারা উল্লেখ করেনি। আমরা আশা করছি অতি শীঘ্রই মালয়েশিয়ার পক্ষ থেকে পুনরায় বৈঠকের তারিখ নির্ধারণ করা হবে৷

এই বিষয়ে বায়রা মহাসচিব জনাব শামীম আহমেদ চৌধুরী সংবাদ মাধ্যমকে জানান, দুই দেশের মধ্যে শ্রমবাজারটি আবার সচল হবে  এটাতো সিদ্ধান্ত হয়েই গেছে। কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হবে' সেই বিষয়টিই হওয়ার অপেক্ষা। আশা করছি ডিসেম্বর মাসেই তারিখঃ পুনঃনির্ধারিত হবে।

তিনি আরও জানান, মালয়েশিয়ার কেবিনেট থেকে বলা হয়েছে যে তাদের ছয় লাখ কর্মী প্রয়োজন। অনেক বড় বড় প্রজেক্ট রয়েছে মালয়েশিয়ার বর্তমান সরকারের, সেটা উপস্থাপন করা হয়েছে।  তাই বলাই যায় মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রয়োজন, এটা সুনিশ্চিত। ঠিক কোন পদ্ধতিতে কর্মী পাঠানো হবে সেটিও মোটামুটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। শ্রমিক পাঠানো শুরু হওয়ারই অপেক্ষা।

'বাংলাদেশের জনশক্তি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান বায়রার কয়েকজন নেতা জানান, দুই দেশের অসাধু ব্যবসায়ীদের প্রভাবেই আবারো থমকে গেছে আলোচিত এই শ্রমবাজারটি।

তবে বিভিন্ন মহলে বলা হচ্ছে যে, বাংলাদেশের সিন্ডিকেট চক্রের কারণেই শ্রমবাজারটি চালু হওয়ার বিষয়টি বারবার পিছিয়ে যাচ্ছে।


Article by: Md Sarowar Hossain (Admin)

Follow our Facebook page👉
https://www.facebook.com/ovibashi/

Follow me on Facebook 👉
Md Sarowar Hossain

No comments

Theme images by Dizzo. Powered by Blogger.