তীব্র শ্রমিক সংকটে মালয়েশিয়া, ৫ মাসে ২ লাখেরও বেশি কর্ম খালি। তবুও কলিং নিয়ে মাথা ব্যাথা নেই মালয়েশিয়ার

সম্প্রতি শেষ হয়েছে ব্যাক ফর গুড কর্মসূচি, যার মাধ্যমে মালয়েশিয়া সরকার অবৈধ অভিবাসীদের নিজ দেশে ফেরত যাওয়ার সুযোগ দেয়া হয়েছে৷ এই কর্মসূচির আওতায় প্রায় ২ লক্ষ শ্রমিক মালয়েশিয়া ত্যাগ করেছে যার ফলে মালয়েশিয়ায় দেখা দিয়ে তীব্র শ্রমিক সংকট। গত ২.৫ বছরে যে হারে অবৈধ শ্রমিক মালয়েশিয়া ত্যাগ করেছে সেই হারে    শ্রমিক আমদানি করতে পারেনি মালয়েশিয়া। বিদেশি শ্রমিকদের অন্যতম প্রধান উৎস হচ্ছে বাংলাদেশ, নেপাল, মায়ানমার, ইন্ডিয়া ও পাকিস্তান। কিন্তু বিভিন্ন জটিলতায় মাঝে মাঝে এই সব দেশ থেকে শ্রমিক রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। মালয়েশিয়ায় বিদেশি কর্মী পাঠানোর অন্যতম দেশ হচ্ছে   বাংলাদেশ।  কিন্তু ১০ এজেন্সি সিন্ডিকেট বানিজ্যের কারণে ২০১৮ সালের শেষের দিকে শ্রমিক রপ্তানিতে বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতির কারণে মালয়েশিয়ার সরকার বন্ধ করে দেয় কলিং ভিসা জি টু জি প্লাস। তার কিছুদিন পর নেপাল ও বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে মালয়েশিয়াতে শ্রমিক রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এদিকে মালেশিয়া পড়ে যায় শ্রমিক সংকটে। মালয়েশিয়া সরকার তাদের দেশকে আরও উন্নতির জন্য বিভিন্ন বড় বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছে যেখানে লাখ লাখ শ্রমিকের প্রয়োজন।     তাই মালয়েশিয়া সরকার শ্রমিক নেয়ার জন্য সোর্স কান্ট্রি খুজতে থাকে কিন্তু এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও নেপাল ছাড়া মোটামুটি সহজ শর্তে স্বল্প  খরচে নেপাল ও বাংলাদেশ ছাড়া আর কোন দেশ নেই বললেই চলে।  তাই মালয়েশিয়া অনেকটা বাধ্য হয়ে নেপালের সাথে আবারও সমঝোতা চুক্তির মাধ্যমে নেপালের সকল শর্ত মেনে নিয়ে শ্রমিক আমদানি শুরু করে। এর ভিতরে বাংলাদেশের সাথেও বেশ কয়েকবার দফায় ফফায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় মালয়েশিয়া মানবসম্পদ মন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সাথে। কিন্তু মালয়েশিয়ার শর্ত অনুযায়ী ব্যাটে বলে না মেলার কারণে ঝুলে গেছে বাংলাদেশের বৃহত্তম শ্রমবাজারটি।     মালয়েশিয়া চায় শ্রমিক রপ্তানি হবে উন্মুক্ত ও স্বল্প খরচে।  কর্মীরা যাতে খুব কম খরচের মধ্যে মালয়েশিয়া যেতে পারে।  এ নিয়ে বারবার বৈঠক হলেও ফলপ্রসূ কোন কিছুই হয়নি, বারবারই পিছিয়ে গেছে। কারণ মালয়েশিয়া বাংলাদেশ থেকে স্বল্প খরচে শ্রমিক আমদানির কোন নির্ভরশীল মাধ্যম পায়নি। বিভিন্ন মাধ্যমে বলা হচ্ছে সিন্ডিকেটের তৎপরতার কারনেই বারবার থমকে যাচ্ছে,  এই বৃহত বাজারটি দখলে নিতে চায় সিন্ডিকেট।    এদিকে বাংলাদেশ সরকারের শ্রম কল্যান ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে চেষ্টার কমতি নেই এই শ্রমবাজারটি চালু করার। কিন্তু মালয়েশিয়া সরকার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরী না হলে সমঝোতা চুক্তি করবেনা সেটাই ধারনা করছেন বিশিষ্ট জনেরা। বর্তমানে মালয়েশিয়া শ্রমিক উৎস দেশগুলো যেমন নেপাল, ইন্ডিয়া ও মায়ানমার থেকে কর্মী নিয়ে তাদের বিদেশি কর্মী চাহিদা পূরন করছে। কিন্ত মালয়েশিয়া নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানিগুলোর চাহিদা সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশী শ্রমিকের৷
মালয়েশিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশী শ্রমিক

প্রতিবেদকঃ মোঃ সারোয়ার হোসেন।
তারিখঃ ০৩/০১/২০২০


সম্প্রতি শেষ হয়েছে ব্যাক ফর গুড কর্মসূচি, যার মাধ্যমে মালয়েশিয়া সরকার অবৈধ অভিবাসীদের নিজ দেশে ফেরত যাওয়ার সুযোগ দেয়া হয়েছে৷ এই কর্মসূচির আওতায় প্রায় ২ লক্ষ শ্রমিক মালয়েশিয়া ত্যাগ করেছে যার ফলে মালয়েশিয়ায় দেখা দিয়ে তীব্র শ্রমিক সংকট। গত ২.৫ বছরে যে হারে অবৈধ শ্রমিক মালয়েশিয়া ত্যাগ করেছে সেই হারে

শ্রমিক আমদানি করতে পারেনি মালয়েশিয়া। বিদেশি শ্রমিকদের অন্যতম প্রধান উৎস হচ্ছে বাংলাদেশ, নেপাল, মায়ানমার, ইন্ডিয়া ও পাকিস্তান। কিন্তু বিভিন্ন জটিলতায় মাঝে মাঝে এই সব দেশ থেকে শ্রমিক রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। মালয়েশিয়ায় বিদেশি কর্মী পাঠানোর অন্যতম দেশ হচ্ছে

 বাংলাদেশ।  কিন্তু ১০ এজেন্সি সিন্ডিকেট বানিজ্যের কারণে ২০১৮ সালের শেষের দিকে শ্রমিক রপ্তানিতে বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতির কারণে মালয়েশিয়ার সরকার বন্ধ করে দেয় কলিং ভিসা জি টু জি প্লাস। তার কিছুদিন পর নেপাল ও বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে মালয়েশিয়াতে শ্রমিক রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এদিকে মালেশিয়া পড়ে যায় শ্রমিক সংকটে। মালয়েশিয়া সরকার তাদের দেশকে আরও উন্নতির জন্য বিভিন্ন বড় বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছে যেখানে লাখ লাখ শ্রমিকের প্রয়োজন।

তাই মালয়েশিয়া সরকার শ্রমিক নেয়ার জন্য সোর্স কান্ট্রি খুজতে থাকে কিন্তু এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও নেপাল ছাড়া মোটামুটি সহজ শর্তে স্বল্প  খরচে নেপাল ও বাংলাদেশ ছাড়া আর কোন দেশ নেই বললেই চলে।  তাই মালয়েশিয়া অনেকটা বাধ্য হয়ে নেপালের সাথে আবারও সমঝোতা চুক্তির মাধ্যমে নেপালের সকল শর্ত মেনে নিয়ে শ্রমিক আমদানি শুরু করে। এর ভিতরে বাংলাদেশের সাথেও বেশ কয়েকবার দফায় ফফায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় মালয়েশিয়া মানবসম্পদ মন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সাথে। কিন্তু মালয়েশিয়ার শর্ত অনুযায়ী ব্যাটে বলে না মেলার কারণে ঝুলে গেছে বাংলাদেশের বৃহত্তম শ্রমবাজারটি।

মালয়েশিয়া চায় শ্রমিক রপ্তানি হবে উন্মুক্ত ও স্বল্প খরচে।  কর্মীরা যাতে খুব কম খরচের মধ্যে মালয়েশিয়া যেতে পারে।  এ নিয়ে বারবার বৈঠক হলেও ফলপ্রসূ কোন কিছুই হয়নি, বারবারই পিছিয়ে গেছে। কারণ মালয়েশিয়া বাংলাদেশ থেকে স্বল্প খরচে শ্রমিক আমদানির কোন নির্ভরশীল মাধ্যম পায়নি। বিভিন্ন মাধ্যমে বলা হচ্ছে সিন্ডিকেটের তৎপরতার কারনেই বারবার থমকে যাচ্ছে,  এই বৃহত বাজারটি দখলে নিতে চায় সিন্ডিকেট।

এদিকে বাংলাদেশ সরকারের শ্রম কল্যান ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে চেষ্টার কমতি নেই এই শ্রমবাজারটি চালু করার। কিন্তু মালয়েশিয়া সরকার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরী না হলে সমঝোতা চুক্তি করবেনা সেটাই ধারনা করছেন বিশিষ্ট জনেরা। বর্তমানে মালয়েশিয়া শ্রমিক উৎস দেশগুলো যেমন নেপাল, ইন্ডিয়া ও মায়ানমার থেকে কর্মী নিয়ে তাদের বিদেশি কর্মী চাহিদা পূরন করছে। কিন্ত মালয়েশিয়া নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানিগুলোর চাহিদা সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশী শ্রমিকের৷

No comments

Theme images by Dizzo. Powered by Blogger.