খুলছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার, তবে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে আগামি ২৬শে ফেব্রুয়ারীর বৈঠকে। অভিবাসী কন্ঠ।
মালয়েশিয়া কলিং ভিসা চালু করতে দুই দেশ একমত হয়েছে, শীঘ্রই চালু হচ্ছে সেই কাঙ্ক্ষিত শ্রমবাজার।
বহুল আলোচিত ও বহুল প্রতিক্ষিত শ্রমবাজারটি হচ্ছে মালয়েশিয়া-বাংলাদেশ। এই বাজার টি চালু জন্য গতকাল মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী কুলা সেগারান ঢাকায় এসেছেন।আজ ঢাকায় মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এই কথা জানান প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্হান মন্ত্রী ইমরান আহমদ ও মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী এম কুলা সেগারান।
আজ রবিবার ২৩শে ফেব্রুয়ারি দুপুরে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে দুই দেশের মন্ত্রী পর্যায়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত বৈঠক শেষে মাননীয় মন্ত্রী ইমরান আহমদ প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, মালয়েশিয়া শ্রমবাজারটি চালুর জন্য শুরু থেকেই মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী কুলা সেগারান এবং আমি একমত ছিলাম। আমরা এখন খুশি যে, এই বাজারটি শীঘ্রই খুলতে যাচ্ছে। কিন্তু মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশী কর্মী পাঠানোর
বিষয়ে সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত হবে আগামী বুধবারের (২৬ শে ফেব্রুয়ারি) জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের সভায় যা ২৪শে ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে মন্ত্রী বলেন, ঠিক কোন পদ্ধতিতে মালশিয়ায় কর্মী প্রেরণ করা হবে তাও নির্ধারিত হবে আগামী বুধবারের সভায়।
তিনি আরো বলেন, মালয়েশিয়ায় পুরুষ কর্মী পাঠানোর পাশাপাশি নারী কর্মীও পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। শ্রমবাজারটি চালু হলে এখন থেকে দেশটিতে নারী কর্মীও পাঠানো সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।
এসময় মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী কুলা সেগারান বলেছেন, বাংলাদেশের জন্য এই শ্রমবাজারটি দ্রুতই চালু হচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের আলোচনায় যা সিদ্ধান্ত নেয়া হবে সেটা মালয়েশিয়ার মন্ত্রী পরিষদে উত্থাপন করা হবে। আর মন্ত্রী পরিষদে অনুমোদন দেয়া হলে শ্রমবাজারটি উন্মুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে আর কোনো বাঁধা থাকবে না।
এদিকে এই বৈঠকে মালয়েশিয়ায় অবৈধভাবে অবস্থানরত বাংলাদেশী কর্মীদের বিষয়ে কোন আলোচনা হয়েছে কিনা, প্রশ্নের জবাবে মালয়েশিয়ার মন্ত্রী জনাব এম কুলা সেগারান বলেন, এটা আমাদের দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তদারোকি করছেন। এ বিষয়ে তারাই সিদ্ধান্ত নিবেন।
মন্ত্রীর এমন জবাবে সুস্পষ্টভাবেই বোঝা যায় যে, অবৈধ অভিবাসীদের বিষয়ে তার কোন ফলপ্রসূ বক্তব্য নেই। অর্থাৎ এ বিষয়টি পুরোটাই নির্ভর করছে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপর। কিন্তু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বারবারই বলা হয়েছে নতুন করে আর কোন বৈধতার সুযোগ নয়। বারবার সুযোগ দেয়া হলে অভিবাসী শ্রমিকরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবেনা। দেশের আইন মেনে চলবেনা।
No comments