অবৈধদের বৈধতার জন্য জমা দেয়া টাকা ফিরিয়ে দেয়ার জন্য পুলিশ রিপোর্ট দায়ের করেছে এনজিও তেনাগানিতা



মালয়েশিয়ায় অবৈধভাবে অবস্থানকারী অভিবাসীদের বৈধ হওয়ার সুযোগ দেয়া হয়েছিল ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে যা প্রথমে ৬ মাস এবং এরপরে ৬ বাড়িয়ে ২০১৮ সালের জুন মাস পর্যন্ত দীর্ঘমেয়াদে পরিচালিত হয়। আর অবৈধদেরকে বৈধ হওয়ার জন্য বা বিভিন্ন কোম্পানিতে পুনরায় ভিসা করিয়ে নেওয়ার জন্য সেদেশের কোম্পানিগুলোকে আহ্বান জানানো হয়। এই রিহায়ারিং কার্যক্রমটি পরিচালনা করার জন্য মালয়েশিয়ার

৩ টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠানটির নাম হচ্ছে মাই'ইজি এবং আরেকটি হল বুকতি মেঘা অন্যান্য হল ইমান। এই ৩ টি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নিয়োগকর্তা বা কোম্পানির মালিকেরা অবৈধ শ্রমিকদের বৈধ করার জন্য সমস্ত ফাইল ও প্রয়োজন তথ্য প্রদান করে। এই রিহায়ারিং প্রক্রিয়ার মাধমে ভিসা পাওয়ার জন্য অবৈধ অভিবাসীরা প্রতিটি রেজিষ্ট্রেশন এর জন্য কোম্পানির মাধ্যমে মাই'ইজিকে ৯২২.৫২ রিঙ্গিত প্রদান করেছিল যা হিসেব অনুযায়ী সর্বমোট প্রতিটি শ্রমিকের জন্য ৪৫১৩.৮৬ রিঙ্গিত অনলাইন পেমেন্ট হিসেবে পরিশোধ করেছিল। মালয়েশিয়ার শ্রম অধিকার সংস্থা তেনাগানিতার প্রতিবেদন অনুযায়ী

এই তিনটি প্রতিষ্ঠানের আন্ডারে প্রায় ৭ লক্ষ ৪৪ হাজার অবৈধ অভিবাসী বৈধ হওয়ার জন্য প্রাথমিকভাবে প্রায় ১০০০-২০০০ রিঙ্গিত ফি জমা দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করেন। এর মধ্যে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার অবৈধ অভিবাসী ভিসা পায়। বাকি প্রায় ৫ লাখেরও বেশি শ্রমিক ভিসা পায়নি।

গত বছরের শেষের দিকে মালয়েশিয়ার শ্রম অধিকার সংস্থা তেনাগানিতা বিভিন্নভাবে তদন্ত করে প্রতিবেদন প্রকাশ করে ও প্রতিবাদমূলক প্রেস ব্রিফিং করে। এই মানবাধিকার সংগঠন তেনাগানিতা পূর্ববর্তী নাজিব রাজাক সরকারের মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া ৩ টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে গত ১৩ই ফেব্রুয়ারি একটি পুলিশ রিপোর্ট দাখিল করে যা ভিসা না পাওয়া অবৈধদের প্রদান করা অর্থ ফিরিয়ে দেয়ার জন্য আইনি পদক্ষেপের প্রাথমিক ধাপ হিসেবে লাজ করবে।

মালয়েশিয়ার সেলাঙ্গর রাজ্যের মানবাধিকার সংগঠন তেনাগানিতার প্রধান জালালুদ্দিন সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, আমরা নাজীব শাসনামলে রিহায়ারিং এর দায়িত্ব পাওয়া ৩ টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে পুলিশ রিপোর্ট করেছি, বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত ও প্রমানস্বরুপ জমা দিয়েছি। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করবে এবং ব্যবস্থা গ্রহন করবে বলে আশ্বস্ত করেছেন। তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করি যে, এই বিষয়টির একটি সুষ্ঠু তদন্ত হবে এবং বৈধ ভিসা পাওয়া থেকে বঞ্চিত শ্রমিকেরা তাদের প্রদানকৃত অর্থ ফিরে পাবে।
পুলিশ রিপোর্ট দায়ের করেছে এনজিও সংস্থা তেনাগানিতা 

সেলাঙ্গরের মানব পাচার বিরোধী কাউন্সিলের সদস্য আবদুল আজিজ ইসমাইল ভিসা পাওয়ার জন্য অভিবাসী শ্রমিকদের প্রদানকৃত প্রায় ২ বিলিয়ন রিঙ্গিত এর সুষ্ঠু তদন্ত ও পুনরুদ্ধারের পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান।  অবৈধ অভিবাসীদের এই অর্থ ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য প্রয়োজনে আন্দোলন করা হবেও বলে জানান তিনি।

No comments

Theme images by Dizzo. Powered by Blogger.