নিরাপত্তার স্বার্থেই পিছু হটেছে ইমিগ্রেশন সদস্যরা, তবে কোন গ্যাং কে পরোয়া করেনা ইমিগ্রেশন


গতরাতে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন কুয়ালালামপুরের বাতু কেভ এর আশেপাশে অভিযান চালানোর চেষ্টা করলে সেখানে তাদেরকে একদল লোক বাধা দেয়।
ইমিগ্রেশন সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে ভারত ও পাকিস্তানি অবৈধদেরকে রক্ষা করার জন্য সেখানকার প্রভাবশালী কিছু স্থানীয় নাগরিক ইমিগ্রেশন সদস্যদের ঘিরে ফেলে।

ঐ মুহুর্তে ইমিগ্রেশন অফিসারগন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগে এবং তারা পিছু হটে। তাদের সাথে ইমিগ্রেশন সদস্যদের বাকবিতন্ডা ও কিছুটা ধাক্কাধাক্কির মত ঘটনা ঘটে। অবৈধদের বাঁচানোর জন্য একদল লোক ইমিগ্রেশন সদস্যদের উদ্দেশ্য করে খারাপ মন্তব্য ও গালিগালাজের মত আচরণ করে।

এদিকে আজ এক সংবাদ সম্মেলনে ইমিগ্রেশন বিভাগ এর মহাপরিচালক দাতু খাইরুল জাইমি বলেন, সরকারি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বে একদল পুরুষ বাধা প্রদান করেছে। এই বিষয়ে আমরা প্রথমত একটি পুলিশ রিপোর্ট করবো, তারপর অন্যান্য আইনি পদক্ষেপ গ্রহন করবো।
এদেশে কেউই আইনের উর্ধ্বে নয়। সবাইকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। কোন গ্যাং বা গ্যাংস্টারকে পরোয়া করেনা ইমিগ্রেশন।

তিনি বলেন, দেশে অবৈধ অভিবাসীদের সুরক্ষা করার জন্য বা ইমিগ্রেশন অভিযান থেকে বাঁচানোর জন্য ইমিগ্রেশন সদস্যদের প্রতি উস্কানিমূলক আচরণ করা হয়েছে যা নিয়ে তিনি মোটেও উদ্বিগ্ন নন এবং এই ঘটনাটিতে অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু হওয়ার আগেই সদস্যরা পিছু হটেছে।

গতরাতে মালয়েশিয়ার এই ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

 এদিকে, কুয়ালালামপুরের গোম্বাক জেলা পুলিশের প্রধান সহকারী কমিশনার আরিফাই তারাউয়ের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেছিলেন যে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ হওয়া এই ধরনের দাঙ্গার ঘটনার কোনও খবর পাননি।
তবে তিনি বলেন, ইমিগ্রেশনের অভিযানকে বাধা দেয়ার প্রেক্ষিতে সেখানকার কোন দল বা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রমান ও সঠিক তথ্য উপাত্ত পেলে আমরা এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব৷

 আরিফাই জানান, তামিলদের থাইপুসাম উৎসবের পর ৫ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি বাটু কেভের আশপাশে যান চলাচলের সুরক্ষা ও মসৃন পথ নিশ্চিত করতে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছে।

এই সময়টিতে, আমরা যেকোনও বেআইনী ক্রিয়াকলাপ, চাঁদাবাজি, ফৌজদারি হুমকি, অবৈধ পার্কিং এবং অন্যান্য অপরাধ সহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত ৭৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছি।

 সূত্র: সিনার হারিয়ান

No comments

Theme images by Dizzo. Powered by Blogger.