গতকাল রাতে কুয়ালামাপুরে সবচেয়ে ভয়াবহ অপারেসি, ১৩২জন বাংলাদেশী সহ ৩৪৫ জন অবৈধ গ্রেফতার। অভিবাসী কন্ঠ।

মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন বিভাগের কুয়ালালামপুর ইউনিট প্রতিদিন অপারেসি বা অবৈধদের আটকের অভিযান চালাচ্ছে। ইমিগ্রেশন এর পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী এসব অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এই বছরের মধ্যেই ৭০ হাজার অবৈধ অভিবাসী গ্রেফতার করার টার্গেট দেয়া হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এবং মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন সেই মতই

 নিরলসভাবে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। গতকাল বুধবার ১৯/০২/২০ তারিখ এই বছরের সবচেয়ে বড় অভিযান চালানো হয়। এই ধরনের অভিযান বছরের শুরুতেই দেয়া হলেও এত বিপুল সংখ্যক অবৈধ অভিবাসী গ্রেফতার করা যায়নি। গতকাল ১৯.০২.২০২০ বুধবার রাত ১২ টা থেকে ভোর ৪ টা পর্যন্ত চলে এই অভিযান। এই অভিযানে সর্বমোট ৬২ জন ইমিগ্রেশন  সদস্য ও কর্মকর্তারা যোগ দেন। কুয়ালামাপুরের  পৃথক ৩টি স্থানে এই অভিযান পরিচালনা করে ৪১০ জনকে

যাচাই-বাছাই করা হয়। পরে সেখান থেকে বাংলাদেশী ১৩২ জন সহ ৩৫৪ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করেছে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগের কুয়ালালামপুর ইউনিট।

৩টি স্থানের মধ্যে সবচেয়ে বড় অভিযান চালানো হয় কুয়ালালামপুরের ডেসা পার্ক সিটি এলাকার জালান রেসিডেন্ট উতামাতে। সেখানে বিভিন্ন আলাদা আলাদা রুমে ও বাসায় গিয়ে অপারেসি দেয়া হয়। এর মধ্যে বেশ কিছু কন্সট্রাকশন

শ্রমিকসহ সর্বমোট ৩০০ জনকে বিভিন্ন যাচাই-বাছাই করে ২৫০ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

এরপরে ২য় অভিযানটি কুয়ালামাপুরের মন্ট কিয়ারা এলাকার মুন্ট ক্লাবে চালানো হয়, সেখানে যৌনকর্মী, মালয়েশিয়ান সহ ৭০ জনকে যাচাই-বাছাই করে ৬০ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় ইমিগ্রেশন। এরপরে ৩য় অভিযানটি মন্ট কিয়ারা এলাকার সোলারিস মন্ট কিয়ারার ডব্লিউ ক্লাব নামে একটি নাইট ক্লাবে চালানো হয়। সেখান থেকে ৪০ জনকে চেক করে ৩৩ জন বিদেশী ও ২ জন মালয়েশিয়ান নাগরিককে আটক করা হয়।

অভিযান গুলোতে ১৩২ জন বাংলাদেশী, ৭৬ জন ইন্দোনেশিয়ান, ৯ জন বার্মা, ও ১ জন পাকিস্তানি পুরুষকে আটক করা হয়।  যৌনকর্মীদের মধ্যে ভিয়েতনামের ৬ জন, ইন্দোনেশিয়ার ৩৬ জন, থাইল্যান্ডের ৮০ জন, কাজাকিস্তান এর ও কোরিয়ার ১জন মেয়েসহ ১ টি শিশুকে আটক করা হয়।

No comments

Theme images by Dizzo. Powered by Blogger.