মালয়েশিয়ার অবৈধ অভিবাসীদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন তেনাগানিতা

মালয়েশিয়াতে চলমান মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার বা গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ আদেশ আর ২ সপ্তাহ বাড়ানোর পর দেশটির মানবাধিকার সংস্থাগুলো

আনডকুমেন্টেড বা অবৈধ অভিবাসীদের সাধারণ ক্ষমা করার জন্য অনুরোধ করেছেন। তবে সংস্থাগুলো সরকারকে এটা বুঝায়নি যে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ বন্ধ করা বা মানব পাচার রোধে ব্যবস্থা না নিতে। একটি মিডিয়া বিবৃতিতে তেনাগানিতা, এলুমিনাতিং ডিথ, এবিউজ ইন কাস্টডি টুগেদার (এডিক্ট), সায়া আনাক আনাক বাংসা মালয়েশিয়া এবং কনসার্ন্ড লয়ারস ফর জাস্টিস এই সংস্থা গুলো বলেন, তারা একটি বেনামা বা নামহীন প্রতিবেদন পেয়েছেন যেখানে অবৈধ শ্রমিকদের গ্রেফতার করে তাদেরকে জেলে নিয়ে রাখা হচ্ছে যখন থেকে মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার আইন কার্যকর হয়েছে।
আমরা এতে ভীষণ উদ্বিগ্ন কারন, পুলিশ হাজত এবং ইমিগ্রেশন ডিটেনশন ক্যাম্পগুলোতে নতুন

গ্রেফতারকৃত দের রাখার ফলে সেখানে বড় ধরনের গনজমায়েত হয়ে আবারও বড় ধরনের সংক্রমণ ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ আমরা এখনো নিশ্চিত নয় যে তাদেরকে পুলিশ হাজত অথবা ডিটেনশন ক্যাম্পে প্রেরন করার আগে মেডিকেল হেলথ স্ক্রিনিং টেস্ট করা হয় কিনা। এক্ষেত্রে গ্রেফতারকৃতদের ও আটক কেন্দ্রের কর্মকর্তা ও কর্মীদের মধ্যে যারা ভাইরাসের সংস্পর্শে আসতে পারে তাদের বিষয়ে কি পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে তা পরিস্কার করে বলার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে আহ্বান জানিয়েছেন তারা। সংস্থা গুলো আরও উল্লেখ করে যে, চলমান মুভমেন্ট কন্ট্রোল আদেশের ফলে

বিপদজনকভাবে বসবাসকারী অবৈধ শ্রমিকদের জন্য কি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে এবং এই মুভমেন্ট কন্ট্রোল আদেশের ফলে বিদেশি শ্রমিকদের যে পরিমান কষ্ট আর ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সেটার বিষয়ে আদৌ কোন মানবিক উদ্যোগ নেয়া হয়েছে কিনা আমরা নিশ্চিত নই তবে এনজিও সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে এই মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার বা গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ আদেশের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত বিদেশী শ্রমিকদের খাবার বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে যা পর্যাপ্ত নয়।

আরও পড়তে পারেন
👇
কয়েক লক্ষ শ্রমিকের জীবন ঝুঁকিতে, একই রুমে গাদাগাদি অবস্থা, করোনার ঝুঁকি নিয়ে কাজে যেতে বাধ্য করছে অনেক কোম্পানি।
👇
মালয়েশিয়ায় অবৈধ প্রবাসীদের এখন আর গ্রেফতার করা হবেনা বলে জানিয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী।
👇
কোম্পানি মালিকদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দিলেই ব্যবস্থা নেবে মানবসম্পদ মন্ত্রী এম সারাভানান
👇
মালয়েশিয়াতে পুলিশের গ্রেফতার থেকে বাঁচতে পানিতে ঝাঁপ দিয়েও রক্ষা মেলেনি, বাংলাদেশীসহ আটক বেশ কয়েকজন।

তারা আরও উল্লেখ করে বলেন, পুত্রাজায়াকে অবশ্যই পরিমাপ করে বলতে হবে যে ঠিক কতগুলো অবৈধ অভিবাসী মালয়েশিয়াতে রয়েছে অবশ্য নোট করে রাখা উচিত যে এনজিও সংস্থাগুলোর হিসেব মতে দেশে প্রায় ৪ মিলিয়ন রয়েছে।

অবৈধভাবে অবস্থানরত শ্রমিকেরা আক্রান্ত হয়েছে কিনা এই বিষয়ে কেউ নিশ্চিত নই, আবার এটাও সত্যি যে তাদেরকে গ্রেফতার না করার কথা বলা হলেও তারা আক্রান্ত হওয়ার বিষয় লুকিয়ে রাখবে কারণ তারা গ্রেফতার আতংকে কখনও টেস্ট করতে হাসপাতালে আসবেনা। সুতরাং আমরা এটাই বুঝি যে, বড় ধরনের সংক্রমণ ঠেকাতে তাদেরকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করার মাধ্যমে করোনা ভাইরাস টেস্ট করে নিশ্চিত হওয়ার মাধ্যমে পুরো জাতির সুরক্ষা নিশ্চিত করা।

No comments

Theme images by Dizzo. Powered by Blogger.