মালয়েশিয়ায় হঠাৎ বেড়েছে, ইমিগ্রেশন কারাগারে ৫৩ বাংলাদেশী সহ ১৭২ জন আক্রান্ত।

মালয়েশিয়ায় হঠাৎ বেড়ে গেছে করোনার থাবা। ইমিগ্রেশন কারাগার গুলোতে ব্যাপকভাবে আক্রান্ত হচ্ছে আটককৃত বিদেশি ও অভিবাসী কর্মীরা। বিগত কয়েক সপ্তাহ মালয়েশিয়াতে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা কমে এলেও হঠাৎ আবার বেড়ে গেছে আক্রান্তের সংখ্যা।

আজ মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্য মহাপরিচালক প্রতিদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন নতুন করে ১৭২ জন আক্রান্ত হয়েছে। তবে সবচেয়ে হতাশার খবর হচ্ছে এর মধ্যে বেশির ভাগই মালয়েশিয়ার বড় তিনটি ইমিগ্রেশন ডিটেনশন ক্যাম্পে আক্রান্ত হয়েছে।স্বাস্থ্য মহাপরিচালক দাতু ডাঃ নুর হিশামের তথ্য মতে ১৭২ জনের মধ্যে ৫ জন বাইরের দেশে থেকে এসেছে এবং  ১১২ জনই ইমিগ্রেশন ক্যাম্পে আক্রান্ত হওয়া সহ মোট ১৫৯ জন আক্রান্ত হয়েছে। বাকি আক্রান্ত

গুলো ইমিগ্রেশন ক্যাম্পের বাইরে রয়েছেন যার মধ্যে ৯ জন স্থানীয় নাগরিক রয়েছেন। গত ৩ সপ্তাহ আক্রান্তের সংখ্যা যেখানে ১০০ এর নিচে ছিল সেখানে আজ ১০০ এর উপরে ২০০ এর কাছাকাছি পর্যায়ে এসেছে এবং আরও আক্রান্তের ঝুঁকি রয়েছে। গত ৩রা মে মালয়েশিয়াতে সর্বশেষ ১২২ জন ছিল। নূর হিশাম জানান, কাজাং জেলার সিমেনিয়াহ ইমিগ্রেশন ডিপোতে ১৬৩০ জন বন্দী এবং ১২৭ জন ইমিগ্রেশন সদস্যকে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা হয়েছে যার মধ্যে ৬৬ জন আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৭৫৩ জনের ফলাফল নেগেটিভ এবং ৯৩৮ জনের ফলাফল এখনো অপেক্ষমাণ রয়েছে।

সেমিনিয়েহ ডিটেনশন ক্যাম্পে আক্রান্ত ৬৬ জনের মধ্যে ১৭ জন ইমিগ্রেশনের সদস্য রয়েছে। সেপাং ইমিগ্রেশন কারাগারে ১৪৪৯ জনের করোনা টেস্ট করা হয়েছে এর মধ্যে আজ ২৯ জনসহ মোট ৩৬ জন আক্রান্ত হয়েছে। বুকিত জলিল ইমিগ্রেশন কারাগারে ১৪২২ জন বন্দী এবং ১১৪ জনের করোনা টেস্ট করা হয়েছে যার মধ্যে ৫১৪ জনের নেগেটিভ ফলাফল এবং ৮৯৬ জনের ফলাফল এখনো অপেক্ষমাণ রয়েছে।

সব মিলিয়ে মোট ৩ টি কারাগারে ১৩ টি দেশের  ২২৭ জন আক্রান্ত হয়েছে। যার মধ্যে বাংলাদেশের ৫৩ জন, ইন্দোনেশিয়া ৩৮ জন, মায়ানমার ৩ জন, পাকিস্তান ২৮ জন, চীন ১ জন, কম্বোডিয়া ৪ জন, নেপাল ৩ জন, শ্রীলঙ্কা ২ জন, ফিলিপাইন ১ জন, লিবিয়া ১ জন, মিশর ১ জিনে এবং সিরিয়ার ১ জন নাগরিক রয়েছে। স্বাস্থ্য মহাপরিচালক জানিয়েছেন বিদেশি আক্রান্ত বন্দীদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

No comments

Theme images by Dizzo. Powered by Blogger.