কয়েকটি দেশ থেকে সিঙ্গাপুরে প্রবেশ অনুমতি, তবে দিতে কোভিড-১৯ টেস্ট ফি। (বিস্তারিত)

আগামী ১৮ই জুন থেকে অনুমতি প্রাপ্ত দেশগুলো থেকে সিঙ্গাপুরে প্রবেশ করা যাবে এক্ষেত্রে প্রাপ্ত সুবিধা গুলো ব্যতিরেকে বাসায় থাকার ঘোষণা পত্র প্রদান করতে হবে৷ 

সোমবার (১৫ই জুন) সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় উন্নয়নমন্ত্রী লরেন্স ওয়াং বলেছেন, দেশে প্রবেশ করার পর সবাইকে অবশ্যই তাদের কোভিড-১৯ এর জন্য টেস্ট করাতে হবে এবং এটা অবশ্যই সেলফ কোয়ারেনটাইন বা স্টে হোম নোটিশের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে সম্পন্ন করতে হবে। 

বুধবার রাত ১১:৫৯ টা থেকে নতুন নিয়মগুলো প্রযোজ্য হবে৷ যেসব দেশের থেকে ১৪ দিনের কোয়ারেনটাইন বা স্টে হোম নোটিশ প্রদান পূর্বক সিঙ্গাপুরে প্রবেশ করা যাবে তা হলো ; অস্ট্রেলিয়া, ব্রুনাই, হংকং, জাপান, মাকাও, মূল ভূখণ্ড চীন, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান এবং ভিয়েতনামের ভ্রমণকারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

সিঙ্গাপুর নাগরিক এবং স্থায়ী বাসিন্দারা (PR) তাদের বাসায় ১৪ দিনের সেল্ফ কোয়ারেনটাইন বা স্টে হোম নোটিশে থাকতে হবে । সিঙ্গাপুরে প্রবেশকারী অন্য সমস্ত ভ্রমণকারীদের কোয়ারেনটাইন কেন্দ্র হিসেবে নির্বাচিত হোটেল স্টে হোম নোটিশের নিয়ম অনুযায়ী থাকতে হবে তবে যারা সিঙ্গাপুর স্থানীয় নাগরিক বা স্থায়ী বাসিন্দা নন তাদের ক্ষেত্রে হোটেল গুলোর কোয়ারেনটাইন ফি প্রদান করতে হবে। 

বুধবার রাত ১১.৫৯ মিনিট থেকে সিঙ্গাপুরে যারা প্রবেশ করবে বা যারা সিঙ্গাপুর থেকে অন্য দেশে যাবে তাদের কোভিড -১৯ পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত অর্থ প্রদান করতে হবে। পূর্বে এসব খরচ সরকার বহন করেছিলো বলে উল্লেখ করা হয়। প্রতিটি কোভিড -১৯ পরীক্ষার জন্য ২০০ ডলার পর্যন্ত খরচ হতে পারে এবং ১৪দিনের কোয়ারেনটাইন বা হোম স্টে নোটিশের মাধ্যমে নির্ধারিত হোটেলে থাকতে হলে ২ হাজার ডলার খরচ বহন করতে হবে। 

মিঃ ওয়াং আরও বলেন,  এখন পর্যন্ত করোনা টেস্ট, কোয়ারেনটাইন বা স্টে হোম ও চিকিৎসা সুবিধা গুলো সরকার বহন করছে তবে সামনের দিকে আমরা আরও ভ্রমনকারীদের পুনরায় স্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই।

তাদের নিজস্ব ব্যক্তিগত যানবাহনে বা নির্ধারিত পরিবহণে পরীক্ষার সুবিধার্থে ভ্রমণ করতে হবে এবং পরীক্ষার পরপরই ফিরে আসতে হবে। তাদের গণপরিবহন এড়ানো উচিত। মনোনীত পরিবহনের বিষয়ে আরও বিশদ শীঘ্রই জানানো হবে।

বিশেষত সিঙ্গাপুর-ভিত্তিক পেশাদারদের যারা তাদের কাজের অংশ হিসাবে ঘন ঘন ভ্রমণ করতে হবে তাদের প্রয়োজনীয় সুরক্ষার সাহায্যে কীভাবে ব্যবসায়িক ভ্রমণ সহজতর করা যায় তাও সরকার দেখবে। আপাতত, স্বল্প-মেয়াদী দর্শনার্থীদের জন্য এখনো ভ্রমন অনুমোদিত নয়।

এই মাসের শুরুতে, সিঙ্গাপুর দ্রুত-লেন চুক্তিতে চীনের সাথে অপরিহার্য ব্যবসা বাণিজ্য ও সরকারী ভ্রমণ পুনরায় চালু করতে সম্মত হয়েছে, যা উভয় পক্ষের ভ্রমণকারীদের ১৪ দিনের অবধি কোয়ারেন্টাইন সেবা না দিয়ে একে অপরের দেশে যেতে সক্ষম করবে।

পরিবর্তে, যাত্রীদের প্রস্থান করার ৪৮ ঘন্টা আগে এবং তারা অবতরণ করার পর একটি কোভিড -১৯ সোয়াব টেস্ট করতে হবে। তাদের অবশ্যই বিশদ বিবরণী জমা দিতে হবে এবং তাদের স্পনসরকারী ব্যবসায়িক সংস্থাগুলি বা সরকারী সত্তা তাদের পক্ষে আবেদন করতে হবে।

সিঙ্গাপুরে আগত অনুমোদিত ভ্রমণকারীদের অবশ্যই ট্রেসটুগেদার অ্যাপটি ডাউনলোড করতে হবে এবং তারা পাবলিক ট্রান্সপোর্টে ভ্রমণ করতে পারবেন না। চীনে যাওয়া সিঙ্গাপুর ভ্রমণকারীদের ক্ষেত্রেও একই জাতীয় বিধি প্রযোজ্য। সিঙ্গাপুর এবং বাসিন্দাদের এখনও বিদেশে সমস্ত ভ্রমণ পিছিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

তথ্যসূত্র : The Straits Times

No comments

Theme images by Dizzo. Powered by Blogger.