এবার মালয়েশিয়ায় মানব পাচারে জড়িত থাকায় ইমিগ্রেশনের সহকারী পরিচালক গ্রেফতার
মানব পাচারের সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে মালয়েশিয়ার জোহর রাজ্যের ইমিগ্রেশন বিভাগের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে । সুত্রে জানা গেছে যে, ইমিগ্রেশন বিভাগের সহকারী মহাপরিচালক ও ৫০ বছর বয়সী ঐ নারী কর্মকর্তাকে তিনদিন আগে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
জোহর রাজ্যের পুলিশ প্রধান দাতু আইয়ুব খান মাইডিন পিচ্চা বলেছেন, গত ২৩ শে জুন সন্দেহের ভিত্তিতে তিনজন ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের সুত্র ধরে ঐ নারী কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি আরও বলেন, মানবপাচারকারীদের সহযোগীকে হিসেবে কাজ করে এই সন্দেহভাজন নারী কর্মকর্তা।
দেশি পন্য কিনুন লাজাডাতে, অর্ডার করতে ক্লিক করুন। |
জোহর পুলিশ সংস্থার সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে আইয়ুব খান মাইডিন পিচ্চা বলেছিলেন, মোডাস অপারেন্ডি হিসেবে চিহ্নিত সিন্ডিকেটটি ইমিগ্রেশনের নকল স্টাম্প ব্যবহার করে ইন্দোনেশিয়া থেকে অবৈধভাবে উপায়ে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করিয়েছিলো।
তিনি জানান, সুরক্ষা অপরাধ আইন ২০১২ এবং পাচার বিরোধী ও অভিবাসী পাচার বিরোধী আইন ২০০৭ এর ২৬ ধারায় মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে। এখনো পর্যন্ত পুলিশ, ইমিগ্রেশন এবং সশস্ত্র বাহিনী সহ ২৩ জন আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তা ও সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা জোহরের সমুদ্র পূর্ব উপকূলে অবৈধ অভিবাসী চোরাচালানমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
তিনি হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলে, রাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের অনুপ্রবেশ ও চোরাচালানের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কড়া নজরদারিতে রাখা হবে যাতে কেউ যেন আইনের অপব্যবহার না করতে পারে। একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা গ্রেফতার হওয়ার ফলে অন্যান্য সংশ্লিষ্ট আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও সাবধান হয়ে যাবে এবং এসব অপরাধ থেকে নিজেদের মুক্ত রাখবে।
উল্লেখ্য, গত ১৯ ই জুন পুলিশের অভিযানে সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার একজন অফিসারকে জড়িত থাকার সন্দেহের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঐ পুলিশ কর্মকর্তা জোহর বাহরু উত্তরাঞ্চল জেলা পুলিশের সদর দপ্তরে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন।
এর আগেও গত ১৫ থেকে ১৮ জুন অভিযানের ফলে জলসীমায় নিয়োজিত মেরিন পুলিশ থেকে দুজন, বুকিত আমানের দুইজন এবং কোতা তিঙ্গি থানার নয়জন সহ পাঁচজন সামরিক কর্মী এবং ১৩ জন পুলিশকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
No comments