মালয়েশিয়াকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মহিউদ্দিন ইয়াসিন।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী তানশ্রী মহিউদ্দিন ইয়াসিন এবং প্রশাসনের সকল সদস্য দেশে কোভিড-১৯ দ্বারা আক্রান্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছেন।
আজ ইস্তান মেলাওয়াতীতে ইয়াং ডি-পার্তুয়ান আগংয়ের অফিসিয়াল জন্মদিন উপলক্ষে ফেডারেল ডিগ্রী, তারকা ও পদক ২০২০ এর সমাপনী অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মহিউদ্দিন বলেন, কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াই এখনো শেষ হয়ে যায়নি।
সরকারের প্রচেষ্টার পাশাপাশি তিনি বলেছিলেন যে,
রিকভারি মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার এর সফলতা দেশের প্রতিটি নাগরিকের সচেতনতা, মনোভাব এবং অনুশীলনের উপর নির্ভরশীল।
সরকার এই মহামারি পরিস্থিতিতে প্রতিরোধের পাশাপাশি জনগণকে দৈনন্দিন জীবন পরিচালনার জন্য নির্ধারিত স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি (এসওপি) মেনে চলার জন্য আহ্বান জানাবে।
মহিউদ্দিন বলেন দেশের আন্তর্জাতিক প্রবেশ পথ গুলোতে নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আরও জোরদার করা অব্যাহত রাখা হবে এবং সরকার অন্যান্য দেশগুলোর সাথে কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিন গ্রহণের জন্য প্রচেষ্টা এবং সহযোগিতার নেতৃত্ব দিয়েছে।
আমি এবং দেশের প্রশাসনের সকল সদস্যগণ দেশকে আগের মত স্বাভাবিক পর্যায়ে ফিরিয়ে আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বর্তমানে জনগণ চলাফেরা করতে পারছে, শিল্প ও ব্যবসা সুচারু কার্যক্ষমভাবে চালাচ্ছে, কৃষিজাত পন্য উৎপাদন ও বিক্রয় করছে, ছেলেমেয়েরা স্কুল বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্য আসতে সক্ষম হবে, ক্রীড়া কার্যক্রম এবং বিনোদন কেন্দ্রগুলো ও চালুর মাধ্যমে নাগরিকেরা অবসর সময় কাটাতে পারবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী মহিউদ্দিন।
সেই লক্ষ্যে তিনি বলেছিলেন যে, সরকার এমন কর্মসূচি ও প্রকল্প বাস্তবায়নের দিকে মনোনিবেশ করবে যা জনগণ এবং দেশের উপকারে আসবে। আরও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, বাজারজাতকরণ এবং স্থানীয়দের অগ্রাধিকার প্রদানের জন্য কর্মসূচি গুলো অব্যাহত থাকবে।
একই সময়ে, মহিউদ্দিন বলেছেন, দেশের সার্বভৌমত্ব বজায় রাখার গুরুত্বের বিষয়ে মহামহিম রাজার আদেশের সাথে সামঞ্জস্য রেখে অভ্যন্তরীণ ও বাইরের হুমকি থেকে জাতীয় সুরক্ষা আরও জোরদার করা অব্যাহত থাকবে।
অচল হতে নয়, মহামহিম রাজার অধীনে সরকার জনগণসহ প্রশাসনের সকল স্তরে সত্যতা ও শাসন ব্যবস্থা জোরদার এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাবে।
দেশের অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে জনসাধারণের জন্য অর্থনৈতিক উদ্দ্বিপনা প্যাকেজ বা পিপলস কন্ট্রেন্ড ইকোনমিক স্টিমুলাস প্যাকেজ (প্রিহাতিন), পরিপূরক উদ্বেগ সমূহ এবং জাতীয় অর্থনৈতিক পুনর্জাগরণ পরিকল্পনা (পেনজানা) দেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের (জিডিপি) ১৭ শতাংশের সমপরিমাণ প্রবর্তিত হয়েছিল যা জনগণের কাছে উপকৃত হয়েছিলো।
অর্থনৈতিক উদ্দীপনা প্যাকেজগুলোর সংখ্যা বিশ্বের সর্বোচ্চ এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে সর্বাধিক ছিলো। এই প্রনোদনা প্যাকেজ গুলো দেশের জিডিপি অর্জনে সহায়ক হবে বলে মনে করেন তিনি।
তাঁর মতে, গত জুনে অর্থনৈতিক খাত পুনরায় চালু হওয়ার পর থেকে মোট ১৫ মিলিয়ন শ্রমিক পুনরায় কাজে ফিরতে পেরেছে।
তিনি বলেন, সমস্ত মন্ত্রনালয় এবং বিভাগগুলিকে দক্ষ ও দ্রুত সেবা প্রদানের জন্য তাদের নিজ নিজ আইন, বিধিমালা এবং এসওপিগুলিকে পর্যালোচনা করতে বলা হয়েছে, বিশেষত কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে, যাতে দ্রুত এবং প্রতিক্রিয়াশীল সরকার প্রশাসনের প্রয়োজন হয়।
No comments