কুয়ালালামপুর বড় বাজার থেকে প্রবাসীদের বের করে দেয়ায় প্রতিবাদ জানালেন ২টি এনজিও

কুয়ালালামপুরের পাইকারি বাজার থেকে অভিবাসী কর্মীদের নিষেধাজ্ঞার জন্য কুয়ালালামপুর সিটি হল (ডিবিকেএল) যে কারণগুলি দেখিয়েছে তা প্রত্যাখ্যান করেছে অভিবাসী কর্মীদের নিয়ে কাজ করা ২টি এনজিও সংস্থা।

নর্থ সাউথ ইনিশিয়েটিভ পরিচালক অ্যাড্রিয়ান পেরেইরা বলেছিলেন যে, বিদেশিরা পাইকারি বাজারে পন্য বেচাকেনা এবং চাকরি করার বিষয়ে অত্যন্ত দূর্বল যুক্তি এবং বৈষম্যমূলক অযুহাত দেখানো হয়েছে।
প্রানের যেকোনো পন্য লাজাডায় অর্ডার করতে ছবিটতে ক্লিক করুন 

মঙ্গলবার তিনি কুয়ালালামপুর সিটি হলে বিবৃতির বিষয়ে মালয়েশিয়ার গণমাধ্যম ফ্রি মালয়েশিয়া টুডেকে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই যে ডিবিকেএল ধারণা নিচ্ছে যে শরণার্থী ও বিদেশি শ্রমিকেরা লেনদেনের অপব্যবহার করবে এবং অন্যদের তুলনায় কোভিড -১৯ ছড়িয়ে দেওয়ার সম্ভাবনা বেশি। উভয় অনুমানই ডিবিকেএল এর পক্ষ থেকে খারাপ ধারণার  ইঙ্গিত দেয় বলে বিশ্বাস করেন তিনি।

তিনি বলেন, মার্কেটটি বিদেশিদের দখলে বা বিদেশিদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ছিল বলে এমন একটি ধারণা জন্ম হয়েছিল জনসাধারণের মাঝে। এই প্রসঙ্গে তিনি ডিবিকেএল এর ব্যাখ্যা উল্লেখ করে বলেন এই আমাদের নেতাদের মাঝে এগুলো সমাধানের মাঝে জনপ্রিয়তা পাওয়ার প্রবণতা ছিল।

তিনি অভিযোগ করেন যে, এসব সমস্যাযুক্ত পরিস্থিতি পরিচালনার জন্য কিভাবে নাগরিক অধিকার অক্ষুন্ন রেখে সমাধানের পথ বের করা যায় সেই বিষয়ে তাদের কোন জ্ঞান বা ধারণা লি নেই।

আওয়ার জার্নি নামক একটি এনজিওর পরিচালক সুমিতা শান্তিন্নি কিশনা বলেছেন, বেশিরভাগই স্থানীয় নাগরিকেরা তাদের মুদি দোকানের মালামাল গুলো পাইকারি বাজার থেকেই কিনে আনা হয় যা একটি ডাবল স্ট্যান্ডার্ড পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।

এছাড়াও তিনি আরও বলেন, বিদেশি শ্রমিকেরা পাইকারি বাজারে কেনাবেচা করছে এর কোন স্পষ্ট প্রমাণও দেখাতে পারেনি ডিবিকেএল। মোট কথা কুয়ালালামপুরের সবচেয়ে বৃহৎ পাইকারি বাজারে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসা শ্রমিকদের এভাবে বাজার থেকে বিতাড়িত করার কারণে বরাবরই এনজিও সংস্থা গুলো প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে।

No comments

Theme images by Dizzo. Powered by Blogger.