মালয়েশিয়াতে আবারো কঠোর লকডাউন প্রয়োগ হতে পারে জানালেন স্বাস্থ্য মহাপরিচালক
মালয়েশিয়াতে স্থানীয় ভাবে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণের হারে বেড়ে গেলে আবারও মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার বা লকডাউন পুনরায় প্রয়োগ করার পরামর্শ জানিয়েছেন স্বাস্থ্য মহাপরিচালক দাতু ডাঃ নুর হিশাম।
ডাঃ নূর হিশাম আবদুল্লাহ বলেছেন, জনগণের মাঝে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার ফলে মার্চ মাসের ১৮ তারিখ থেকে যেভাবে মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার বাস্তবায়ন করা হয়েছিলো। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার ক্ষেত্রে সরকারের আর কোন পথ ছিলো না।
লকডাউন চলাকালীন সময়ে সরকার অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে যাওয়ার ফলে দেশে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে। যদি দেশে আবারও করোনা সংক্রমণের হার আরও বেড়ে যায় তাহলে সম্ভবত আমরা আবার এগের মত লকডাউন অবস্থায় ফিরে যাব।
আজ মিডিয়া জয়েন্ট ইনভলবমেন্ট সেশনের এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে হঠাৎ করে যদি কোভিড-১৯ এর আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং নতুন ক্লাস্টার সৃষ্টি হয় তাহলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নিব বলে জানিয়েছেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশিকা গুলো অমান্য করার ফলে লোকজনের মাঝে আবারও করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে।
তিনি বলেন লকডাউন চলাকালীন সময়ে সরকারের নির্দেশিকা বা এসওপি গুলো মেনে চলতে জনগণের আগ্রহ ও সম্মতি ছিল সে সময়ে আক্রান্তের সংখ্যাও বেশি ছিলো কিন্তু আক্রান্তের সংখ্যা কমে যাওয়ার পর লোকজনের মধ্যে করোনার গুরুত্ব কমে গেছে।
করো না পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য আমাদের সব সময় মালয়েশিয়ার জনগণদের কে এসওপি গুলো মেনে চলার বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিতে হবে কারণ তারা এসওপি গুলো যদি মেনে না চলে তাহলে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ জনগণের মধ্যে আবারো মারাত্মক আকারে ছড়িয়ে পড়বে।
কোভিড-19 পরিস্থিতি আরও মারাত্মক আকারে ছড়িয়ে পড়লে জনগণদের কে আবার ঘরে বসে থাকতে হবে।
মঙ্গলবার কুয়ালালামপুর কোর্ট কমপ্লেক্সে মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী দাতো শ্রী নাজিব রাজ্জাক সমর্থকদের সমাবেশ সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি বলেন যে উপস্থিত সমর্থকদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে কিনা তা স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় পর্যবেক্ষণ করবে।
মঙ্গলবার আদালত সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের বিরুদ্ধে 1MDB কেলেঙ্কারি মামলার শুনানি হয়েছিল যেখানে তাকে 12 বছরের সাজা এবং 210 কোটি রিঙ্গিত জরিমানা করা হয়েছিল যার ফলে নাজিব রাজ্জাকের হাজার হাজার সমর্থক কোর্ট চত্বরে জ্বর হয়েছিল।
কোর্ট চত্বরে জড়ো হওয়া নাগরিকদের আগামী দুই সপ্তাহের ভিতরে আমরা যদি পরীক্ষা পরীক্ষা না করা হয় তাহলে সেখানে বড় ধরনের আক্রান্ত হওয়ার হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। তাই সকল সমর্থকদের কোভিড-১৯ টেস্ট দ্রুত করা উচিত।
তিনি আগামী শুক্রবার কুরবানীর ঈদ বা ঈদুল আযহা পালনে জনগণকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। জনগণ যেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রদত্ত এস টি বাণীতে সেগুলোর নির্দেশিকাগুলি অনুসরণ করে ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ পালন করে।
কুরবানীর ঈদ উপলক্ষে অতিউৎসাহী না হয় একসাথে অনেক জন লোক জড়ো হওয়া থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন জনগণকে অবশ্যই সাবধান হতে হবে কারণ আমরা এখনো করো না পরিস্থিতি পুরোপুরি ভাবে মোকাবেলা করতে পারিনি।
No comments