মালয়েশিয়া প্রবাসীদের সমস্যা সমাধানে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ হাইকমিশন


কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে মালয়েশিয়ার অবৈধ ও বৈধ অভিবাসীরা মানবেতর সময় পার করেছেন। তবে বর্তমানে মালয়েশিয়ার পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হওয়ার কারণে বৈধ অভিবাসীরা কাজের সুযোগ পেলেও অবৈধদের অবস্থা রয়েছে আগের মতই। অবৈধ অভিবাসীদের চরম দুর্দিনের মধ্য দিয়ে সময় কাটছে।

 দেশে ফিরে যাওয়ার সুযোগ থাকলেও আর্থিক সমস্যার কারণে ফিরে যেতে পারছেন না বেশিরভাগ অবৈধ অভিবাসী। এদিকে হাইকমিশন থেকে মালয়েশিয়ায় অবশ্য তো বাংলাদেশী প্রবাসী কর্মীদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ দূতাবাস।

কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতেও সফল কূটনৈতিক চেষ্টার ফলে বাংলাদেশী প্রবাসীদের করোনা চিকিৎসা শ্রমিক পুনর্বাসন কোম্পানি পরিবর্তন এবং ডিটেনশন ক্যাম্পে থাকা কর্মীদের বৈধ করার বিষয়ে ইতিবাচক সম্মতি প্রদান করেছে মালয়েশিয়া সরকার।

কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে যাতে কোন বিরুপ প্রভাব না পড়ে সেই লক্ষ্যে কাজ করেছে বাংলাদেশ হাইকমিশন। দেশটিতে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীদের মধ্যে প্রায় ১৯৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মালয়েশিয়ার সরকারি ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসা দেয়া হয়েছে যা মালয়েশিয়ার সরকার বরাবরই বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন।

বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে মালয়েশিয়া সরকার পূর্বের সকল রেকর্ড ভেঙে কোম্পানি পরিবর্তনের সুযোগ দিয়েছে যা প্রবাসীদের জন্য একটি ভালো পদক্ষেপ হয়েছে বলে সাদুবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশী প্রবাসীরা।

করোনা পরিস্থিতিতে যেসব প্রতিষ্ঠান শ্রমিক ছাঁটাই করেছে সেসব শ্রমিকদের আবারও পুনরায় নিয়োগ দেয়ার জন্য কাজ করেছে বাংলাদেশ হাইকমিশন। এক্ষেত্রে কোন প্রতিষ্ঠানে কর্মপদ খালি থাকলে সবার আগে স্থানীয়দের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার শর্ত জুড়ে দিয়েছেন মানবসম্পদ মন্ত্রী।

এজন্য হাইকমিশনের তরফ থেকে প্রবাসী কর্মী, কোম্পানি এবং মালয়েশিয়া সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে যাতে কেউ কর্মহীন হয়ে খালিতে হাতে দেশে ফিরতে বাধ্য না হয়। বাংলাদেশি প্রবাসী কর্মীদের এই বিষয় সংক্রান্ত পরামর্শ গ্রহণ করার জন্য সরাসরি হাইকমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ হাইকমিশনার মোঃ শহীদুল ইসলাম বলেন, কোম্পানি মালিক বা নিয়োগকর্তা পরিবর্তন, ইমিগ্রেশন ক্যাম্পে থাকা কর্মীদের পুনরায় নিয়োগ এবং অবৈধদের বৈধতা প্রদানের প্রস্তাব করলে মালয়েশিয়া সরকার গ্রহণ করে এবং ইতোমধ্যে কোম্পানি বা নিয়োগকর্তা পরিবর্তন চলছে।


তিনি আরও বলেন, প্রবাসীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করেই সশরীরে হাইকমিশনে না এসেই পাসপোর্ট নবায়ন করার পদ্ধতি চালু করেছে হাইকমিশন যা ইতিমধ্যেই গত ৩ মাস ধরে সফলতার সহিত চলমান রয়েছে। প্রবাসীরা হাইকমিশনে না এসেই পাসপোর্ট নবায়ন আবেদন করার সুযোগ পাচ্ছে।

 টেলিফোন কল এবং হাইকমিশনের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে পাসপোর্ট রেডি হয়েছে কিনা বা পাসপোর্ট এর আবেদন জমা হয়ে কিনা সেটি জানতে পারছেন।
মোট কথা প্রবাসীদের সমস্যা সমাধানে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ হাইকমিশন।

No comments

Theme images by Dizzo. Powered by Blogger.