মালয়েশিয়ার একজন নাগরিক সেই রায়হান কবিরের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন


মালয়েশিয়ার একজন নাগরিক একটি টুইট বার্তায় আল জাজিরার একটি প্রতিবেদনে মহামারী চলাকালীন সময় অবৈধ অভিবাসীদের বিষয়ে মালয়েশিয়ার সমালোচনা করার কারণে গ্রেফতার হওয়া রায়হানের কবিরের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।

জানা গেছে, রায়হান মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরে আসলে কয়েক ঘন্টা পর ঐ মালয়েশিয়ার নাগরিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে ক্ষমা চেয়ে পোষণ করেন। রায়হান কবির ২৭ দিন মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন পুলিশের হেফাজতে ছিলেন তবে এর মধ্যে ১৩ দিন ইমিগ্রেশন আইন অনুযায়ী তাকে রিমান্ডে রাখা হয়েছিলো। তবে এই রিমান্ড কোন টর্চারিং বা কোন ধরনের খারাপ আচরণ করা হয়নি তার উপর।

একটি টুইট বার্তায় ওয়ালস্কি69 নামের টুইটার আইডি থেকে পোস্ট করা হয়ঃ প্রিয় রায়হান একজন মালয়েশিয়ান হিসাবে আমি লজ্জা পেয়েছি যে, আমাদের দেশের কর্তৃপক্ষ আপনাকে অযথা কষ্টের মধ্যে ফেলেছে। দয়া করে আমার ক্ষমা প্রার্থনা গ্রহণ করুন। আর কার পক্ষ থেকে নয় আমার পক্ষ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা গ্রহণ করুন।

আমি আনন্দিত যে আপনি নিরাপদে বাড়িতে পৌঁছাতে পেরেছেন এবং আশা করি আগামী দিন গুলো আরও ভালো কাটবে আপনার।


 শনিবার রাত ৭.৩৯ মিনিটে তিনি এই টুইট বার্তাটি প্রকাশ করেন যেখানে কমপক্ষে ৩২ জন এই টুইট বার্তাটি আবার শেয়ার করেছেন বা রিটুইট করেছেন।

 এর আগে রায়হানের গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে আইনজীবী ফর লিবার্টি (এলএফএল) সহ মালয়েশিয়ার বিভিন্ন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরাও প্রতিবাদ করেছিলেন।

 গত ৩রা জুলাই আল জাজিরাতে "মালয়েশিয়ার লকডাউন ইন লকড আপ" শিরোনামে একটি অনুসন্ধানী ডকুমেন্টারি প্রকাশ করা হ্য সেখানে ঐ তথ্যচিত্রে অন্যান্য দেশের নাগরিকদের সাথে রায়হান একটি সাক্ষাত্কার দিয়েছেন, যা মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষ ও দেশের জনগণকে ক্ষুব্ধ করে তোলে।

 এরপর রায়হান কবিরের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল।  ২৪ জুলাই সন্ধ্যায় তাকে মালয়েশিয়ার পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল। বিভিন্ন তদন্ত শেষে মালয়েশিয়ার পুলিশ জানিয়েছে যে তার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই।  এরপরে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়।


 শনিবার (২২ আগস্ট) সকাল একটায় মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের এমএইচ -১৯৬ এর একটি ফ্লাইটে রায়হান ঢাকায় অবতরণ করেছিলেন।

No comments

Theme images by Dizzo. Powered by Blogger.