"মালয়েশিয়াতে বিদেশীরাও লকডাউন লঙ্ঘন করছে, ৩ হাজার ২১০ জন গ্রেফতার" বিস্তারিত

মালয়েশিয়ার শহরের আশেপাশে বিদেশি কর্মীরা সুপারমার্কেট গুলোতে পায়ে হেঁটে যাওয়া আসার সময় চলমান মহামারী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ঘোষিত লকডাউন বা এম'সি'ও আইন লঙ্ঘন করছে। এইসব আইন লঙ্ঘনকারীদের বেশ কয়েকবার সাবধান,

ফাইল ছবিঃ ডেইলি মেট্রো  
গ্রেফতার ও জরিমানা করা করা হলেও এখনো পর্যন্ত তারা মালয়েশিয়ার আইন অমান্য করে মার্কেটে যাওয়া আসা করে। আজ বেশ কয়েকটি সুপারমার্কেটে মালয়েশিয়ার গণমাধ্যম দৈনিক মেট্রো পর্যালোচনা করে দেখেছে যে, বেশিরভাগ বিদেশিরা মার্কেটে একা আসেনি, তারা একসাথে ২-৩ জন, বা ৩-৪ জন দলবদ্ধ হয়ে কেনাকাটার জন্য সুপারশপ গুলোতে গেছেন এবং এটাও বলা হয়েছে যে তারা বেশিরভাগই একইসাথে বা একই রুমে বসবাস করেন। তবে লকডাউন আইন

অমান্যকারী বেশিরভাগ বিদেশি মধ্যপ্রাচ্য ও আরবের বিভিন্ন দেশের নাগরিক। কোন ধরনের অপরাধবোধ বা লজ্জাবোধ না করে এই বিদেশিরা হাত ধরে হাঁটেন এবং বেশিরভাগই নাক এবং মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক পড়েননি এবং ১ মিটার দুরত্ব বজায় রেখে চলাচল করেন নি। কোন ধরনের কেনাকাটা না করেই তারা ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। তবে লকডাউন আইন অমান্যকারীদের মধ্যে অন্যান্য দেশের চেয়ে বাংলাদেশীদের সংখ্যা অনেক কম। দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া আইন লংঘনের অপরাধে খুব কম বাংলদেশীই আটক

হয়েছেন। এদিকে সিনিয়র মন্ত্রী (প্রতিরক্ষা) দাতুক সেরি ইসমাইল সাবরি ইয়াকুবের বক্তব্য অনুসারে, এম'সি'ও সবার উপর কার্যকর করা হয়েছে, এখানে বিদেশি বা স্থানীয় ক্ষেত্রে কোন ব্যতিক্রম নয়। বিদেশীদের লকডাউন বিষয়টি নতুন নয়, এম'সি'ও কার্যকর করার ১ম ধাপ থেকেই তারা আইন অমান্য করে এসেছে।

এটা বিশেষভাবে লক্ষ করা গেছে যে, কুয়ালালামপুরের জালান মসজিদ ইন্ডিয়া এলাকায় অবস্থিত প্লাজা সিটি ওয়ান, সেলাঙ্গর ম্যানশন এবং মালায়ান ম্যানশনে বসবাসকারী বিদেশীদের মধ্যে ৮৯ জনেরও বেশি করোনায় আক্রান্ত হয়ে রেকর্ড করেছে।

এটি লক্ষণীয় যে, ভারতীয় মসজিদ অঞ্চলে বিশেষত প্লাজা সিটি ওয়ান, সেলেঙ্গার ম্যানশন এবং মালায়ান ম্যানশনের কোভিড -১৯ এর ইতিবাচক সংখ্যায় অবদানকারীরা হলেন বিদেশিদের মধ্যে যারা ইতিমধ্যে ৮০ জনেরও বেশি রেকর্ড করেছেন।

পুরো লকডাউন চলাকালীন সময়ে গতকাল অবধি মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার লঙ্ঘনের অপরাধে দেশব্যাপী ৩,২১০ বিদেশিকে আটক করা হয়েছে।

 আরও পড়তে পারেন 

No comments

Theme images by Dizzo. Powered by Blogger.