মালয়েশিয়ার ১৫ বছরের মেয়েকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে বাংলাদেশী প্রবাসী গ্রেফতার, ৩০ বছর জেল ও রতান মারার বিধান
বৃহস্পতিবার (২৩শে জুলাই) মালয়েশিয়ার মালাক্কা রাজ্যের আইর কেরুহ দায়রা আদালতে এক বাংলাদেশি প্রবাসীর বিরুদ্ধে শিশু কিশোর নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
মালয়েশিয়ার স্থানীয় নাগরিক তার কন্যার সাথে অনৈতিক কার্যকলাপ করার দায়ে অভিযোগ আনার পর তাকে আদালতে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়।
ঐ বাংলাদেশির বিরুদ্ধে ৮ বার ব্যভিচার ও ২ বার অপরাধমূলক হুমকি প্রদর্শনের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছে নির্যাতিত কিশোরীর বাবা। বিচারক ইলেসাবেত পায়া ওয়ানের সামনে ৪৩ বছর বয়সী সন্দেহভাজন ঐ বাংলাদেশির বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগগুলো পড়ে শোনানো হয়।
তিনি অভিযোগ করেছেন যে তিনি তার 15 বছর বয়সী এবং 14-বছরের কন্যার সাথে জুন 2019 থেকে জুন 2020 এর মধ্যে অশ্লীল কাজ করেছিলেন।
অভিযোগ ছিল যে মামলার বাদী মালয়েশিয়ার স্থানীয় নাগরিকের ১৫ বছরের কন্যার সাথে গত বছরের জুন থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত অশ্লীল ও যৌন নির্যাতন করা হয়েছে
প্রথম ছয়টি অভিযোগ শিশু নির্যাতনবিরোধী আইন ২০১৭ এর ১৪ (ক) ধারায় ধার্য করা হয়েছিল, যা সর্বোচ্চ ২০ বছরের কারাদণ্ড এবং দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে তাকে দণ্ডবিধির ধারা অনুযায়ী রতান বা বেত মারার বিধান রয়েছে। ১৫ বছরের কন্যার সাথে জড়িত অপরাধের জন্য তাকে দণ্ডবিধির ৩৭৬ এর (খ) ধারাও অভিযুক্ত করা হয়েছিলো।
মালাক্কার সুংগাই উডাংয়ের একটি সুপারমার্কেটের পাশের একটি বাড়িতে ১ বছর ধরে ঐ অপরাধ সংঘটিত হয়েছে বলে অভিযোগ আনা হয়েছে। এই অপরাধে সর্বোচ্চ 30 বছরের কারাদণ্ড ও রতান মারার বিধান রয়েছে।
এছাড়াও ফৌজদারি অপরাধমূলক হুমকি প্রদানের জন্য পেনাল কোডের ৫০৬ ধারা অনুযায়ী ২ বছরের কারাদণ্ড বা জরিমানার বিধান অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত করার বিধান রয়েছে।
অভিযুক্ত বাংলাদেশির পক্ষে গন সিওং কিম আইনজীবী হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন এবং তাকে ৫০,০০০ রিঙ্গিত প্রদান পূর্বক জামিন মঞ্জুর করা হয় তবে তার পাসপোর্টটি জব্দ করে রাখা হয়েছে। আদালত পুনরায় বিচার কার্যের দিন আগামী ২৫শে আগস্ট ধার্য করেছেন।
No comments