মালয়েশিয়ার দুইজন আইনজীবী অবশেষে সেই রায়হানের পাশে দাঁড়ালেন (বিস্তারিত)


মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন দ্বারা আটক হওয়া বহুল আলোচিত বাংলাদেশি প্রবাসী রায়হান কবিরের পক্ষে লড়বেন মালয়েশিয়ান দুই আইনজীবি। রায়হান কবিরের পরিবারের সাথে কথা বলে ঐ দুইন আইনজীবী তার পাশে দাঁড়িয়েছেন। জানা গেছে, ঐ দুইজন আইনজীবী আগামীকাল রায়হান কবিরের সাথে দেখা করবেন৷


গ্রেফতারকৃত রায়হানের পাশে যে দুইজন আইনজীবী নিযুক্ত হয়েছেন তারা হলে কে সুমিথা সানথিননি এবং সি সেলভারাজা।

সুমিথা বলেন, রায়হানের সাথে সাক্ষাতের বিষয়টি রয়্যাল মালয়েশিয়া পুলিশ এবং ইমিগ্রেশন বিভাগকে অফিসিয়াল ইমেইলের মাধ্যমে অবহিত করা হয়েছে। ঐ চিঠিতে তার সাথে সাক্ষাৎ করার জন্য একটি তারিখ নির্ধারণ করার আবেদন করা হয়েছে।

তিনি আজ মালয়েশিয়ার গণমাধ্যম হারিয়ান মেট্রোকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, আমরা আগামীকাল আমাদের ক্লায়েন্টের সাথে দেখা করার জন্য দুওউর ২ টায় পুলিশ সদর দপ্তর বুকিত আমানে উপস্থিত থাকবো।

এদিকে মালয়েশিয়ার কমিউনিটি কনসার্ন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হালিম ইশাক বলেছেন মোঃ রায়হানের এই পদক্ষেপ প্রমান করছে যে বাংলাদেশিরা মালয়েশিয়াকে সার্বভৌম দেশ হিসাবে সম্মান করেনি এবং মারাত্মক মহামারী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের পদক্ষেপকে সমালোচনা করেছেন।

তাঁর মতে, মালয়েশিয়ার সরকার ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগ এনে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন করার ইচ্ছাকৃত প্রচারের বিরুদ্ধে আইন্নি ব্যবস্থা নেয়ার সময় এসেছে।


বিদেশীদের সচেতন হওয়া উচিত যে, কোভিড-১৯ এর বিস্তার প্রতিরোধে সরকার কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপগুলো কেবল মালয়েশিয়ার জন্যই নয় বরং অবৈধ অভিবাসীদের জন্যেই মঙ্গলকর। মালয়েশিয়ার অভিবাসীদের এই বিষয়ে সচেতন ও সাবধান হওয়া উচিত।

জাতীয়তা নির্বিশেষে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য মালয়েশিয়া অন্যতম সেরা দেশ হিসেবে প্রশংসিত কারণ কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কঠোর অবস্থানে ছিলো মালয়েশিয়া।

মালয়েশিয়ার বেসরকারী সংস্থার (এনজিও) অ্যাঙ্গিস্ট ডেথ পেনাল্টি অ্যান্ড টর্চার (ম্যাডপেট) এর আইনজীবী চার্লস হেক্টর ফার্নান্দেজ বলেন, মোঃ রায়হানকে নির্বাসন বা নিজ দেশে ফেরত দেওয়া হবে কি না সেটা আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নেওয়া উচিত।

যদি তাকে দেশে পাঠিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করা হয় তাহলে মালয়েশিয়ায় কেবল সুষ্ঠু বিচার এড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে বলে মনে করা হবে। যদি তিনি সত্যিই অপরাধ করে থাকেন তাহলে তা মহামান্য আদালতে সিদ্ধান্ত হবে এবং আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী তার শাস্তির ব্যবস্থা হওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।

No comments

Theme images by Dizzo. Powered by Blogger.