মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশনের ৯ জন কর্মকর্তাকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হুশিয়ারি

 

কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্মরত ইমিগ্রেশন গ্রেড ৪৮ এর ডেপুটি ডিরেক্টরকে দুর্নীতি দমন কমিশন দ্বারা গ্রেফতার হওয়ার পর তাকে পুত্রাজায়া ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে রিমান্ডে নিয়ে যাওয়ার সময়। ছবিঃ এসপিআরএম পুত্রাজায়া

ইমিগ্রেশন বর্ডারের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের কোন ধরনের অবৈধ কর্মকাণ্ড বা কোন সিন্ডিকেটের অবৈধ কার্যকলাপ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (KDN) সহ্য করবেনা বলে কড়া হুশিয়ারি দিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের উপ-মন্ত্রী দাতুক সেরি ডাঃ ইসমাইল মোহাম্মদ সায়িদ। 


তিনি বলেন, ইমিগ্রেশন বিভাগের নয়জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ইমিগ্রেশন বিভাগের স্টাম্প জাল করার অভিযোগ আনা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে অভিবাসীদের অনুপ্রবেশের ক্ষেত্রে সহোযোগিতা করার অভিযোগ আনা হয়েছে। আমরা টেকং সহ কোনও দলকে অস্ত্র হিসেবে এসব কাজে জড়িত কর্মকর্তাদের কর্মকাণ্ড সহ্য করিনা।


স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ইসমাইল ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার বিষয়ে সিনেটর ইদ্রিস আহমেদের এক মৌখিক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ওয়াআইবির রিপোর্ট অনুযায়ী ইমিগ্রেশন বিভাগের কর্মকর্তারা এই কাজে জড়িত ৩৮ জনকে গ্রেফতার করেছে এবং ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অভিযুক্তদের মধ্যে ৯ জন ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাকে সাজা প্রদান করা হয়েছে। 


 তিনি আরও বলেন, এর আগে, কেএলআইএর একজন উপপরিচালকসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা জাতীয় সীমান্ত অতিক্রম করার জন্য ব্যবহৃত স্ট্যাম্প জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিল। গত ১৬ই নভেম্বর পর্যন্ত অপি স্ট্রেইট নামের অপারেশন এর মাধ্যমে ঐ গ্রেফতার গুলো করা হয়েছে।


গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ৩৩ জন ইমিগ্রেশন অফিসার কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (কেএলআইএ),  কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ২ শাখা (কেএলআইএ ২) এবং সুলতান ইসমাইল জোহর বাহরু ভবনে ডিউটিতে ছিলেন।


ফলস্বরূপ, রোল রইস ফ্যান্টম, মুস্তং, রেঞ্জ রোভার এবং অডি নামের চারটি বিলাসবহুল গাড়ি ১৯ নভেম্বর মালয়েশিয়ার দুর্নীতি দমন কমিশন (এমএসিসি) দ্বারা জব্দ করা হয়েছিল।


 ওপি সেলাত দেশের আন্তর্জাতিক প্রবেশদ্বার ও অপারেশনগুলিতে জাল স্ট্যাম্পের লেনদেনের দুর্নীতি সিন্ডিকেটের মামলার তদন্তের দিকে মনোনিবেশ করেছেন।  - মালয়েশিয়া গেজেট

No comments

Theme images by Dizzo. Powered by Blogger.