মালয়েশিয়া প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে হাইকমিশনের বিশেষ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, বিস্তারিত পড়ুন।
মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে মালয়েশিয়া প্রবাসীদের খাদ্য সহায়তা দেয়ার লক্ষ্যে নির্ধারিত ফর্ম ও ফোন নাম্বারে কলের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। যা নিয়ে মালয়েশিয়া প্রবাসীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে, কেউ খুশি হয়েছেন আবার বেশিরভাগই অভিযোগ দিচ্ছেন। তবে দেশটিতে থাকা প্রায় ১০ লাখের কাছাকাছি প্রবাসীদেরকে খাদ্য সহায়তা দেয়া এই লকডাউন পরিস্থিতিতে
অনেকটা কষ্টসাধ্য হলেও সাধারণ প্রবাসীদের মনে হাইকমিশনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের ক্ষোভ ও মন্তব্য প্রকাশ করতে দেখা গেছে। হাইকমিশন থেকে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে বলে যেমন প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে ঠিক তেমনি খাদ্য সহায়তা দিচ্ছেনা বলেও প্রতিবেদন লক্ষ্য করা গেছে৷ প্রবাসীদের উল্লেখযোগ্য অনলাইন নিউজ পোর্টাল প্রবাসবার্তার প্রতিবেদনে দেখা গেছে বারবার হাইকমিশনে যোগাযোগ করেও খাদ্য সহায়তা পাননি লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত এক বাংলাদেশী প্রবাসী।
আজ কুয়ালালামপুর হাইকমিশনের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজের এসব বিরুপ মন্তব্যের উত্তর হিসেবে একটি বিশেষ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিটি হুবহ নিচে তুলে ধরা হলঃ-
করোনা ভাইরাস (COVID-19) প্রতিরোধে মালয়েশিয়া সরকার কর্তৃক জারি করা মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার (MCO) এর কারণে কাজকর্ম বন্ধ করে নিজ নিজ আবাসস্থলে অবস্থান করতে হচ্ছে এবং চলাফেরা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত। এমন পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ হাইকমিশন মালয়েশিয়ায় অবস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনলাইনে 'খাদ্য চাহিদা ফরম' পূরণের আহবান
জানায়। প্রাপ্ত আবেদনসমূহ যাচাই বাছাই সাপেক্ষে ৬৫০০ জনকে খাবার সহায়তা প্রদান করার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছে এবং ইতোমধ্যে ১৮ শ'র অধিক বাংলাদেশি নাগরিকের নিকট খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে গেছে। এ পর্যন্ত কুয়ালালামপুর, পুত্রজায়া এবং সেলাঙ্গর-এর বিভিন্ন এলাকায়/ লোকেশনে অবস্থিত 'খাদ্য চাহিদা ফরম' পূরণ করা বাংলাদেশি নাগরিকের আবাসস্থল/ বাসা/বাড়িতে (দোড় গোড়ায়) এ খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। একইভাবে অন্যদের নিকট পর্যায়ক্রমে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হবে।
মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার (MCO), কঠোরভাবে চলাচল নিয়ন্ত্রণ এবং করোনা ভাইরাস (COVID -19) সংক্রমিত হবার আশঙ্কার মধ্যেই নানান নিয়ম কানুন পরিপালন করে খাদ্য সহায়তা পৌঁছাতে বিলম্ব হচ্ছে। হাইকমিশন প্রদত্ত খাদ্য সহায়তা মালয়েশিয়া সরকার কর্তৃক নিবন্ধিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বাংলাদেশি নাগরিকদের দোড় গোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছে। এ মহাদুর্যোগে এগিয়ে আসার জন্য ভলান্টিয়ারদের ধন্যবাদ।
কুয়ালালামপুরে লক ডাউন করা তিনটি ভবনে (সিটি ওয়ান প্লাজা, সেলাংগর ম্যানসন ও মালয়েশিয়ান ম্যানসন) অবস্থিত বাংলাদেশি নাগরিকদের নিকট খাদ্য সরবরাহ করা হচ্ছে এবং করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সারা পৃথিবীতে চলমান এ মহাদুর্যোগের ক্রান্তিকালে হাইকমিশন যখন প্রবাসী বাংলাদেশিদের সহযোগিতা করার ক্ষুদ্র প্রয়াস নিয়েছে তখন এসব নিয়ে বিভিন্নভাবে বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য কেউ কেউ অপচেষ্টা করছে যা খুবই দু:খজনক। যাবতীয় সীমাবদ্ধতার মধ্যে একটি সুনিয়ন্ত্রিত পদ্ধতির মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে বিধায় বিভ্রান্ত না হবার জন্য সকলকে অনুরোধ করা হলো ।
ধন্যবাদ ।।
আরও পড়তে পারেন
👇
👇
(বাংলাদেশ হাইকমিশন কুয়ালালামপুর, মালয়েশিয়া ফেসবুক পেইজ থেকে সংগৃহীত।)
অনেকটা কষ্টসাধ্য হলেও সাধারণ প্রবাসীদের মনে হাইকমিশনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের ক্ষোভ ও মন্তব্য প্রকাশ করতে দেখা গেছে। হাইকমিশন থেকে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে বলে যেমন প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে ঠিক তেমনি খাদ্য সহায়তা দিচ্ছেনা বলেও প্রতিবেদন লক্ষ্য করা গেছে৷ প্রবাসীদের উল্লেখযোগ্য অনলাইন নিউজ পোর্টাল প্রবাসবার্তার প্রতিবেদনে দেখা গেছে বারবার হাইকমিশনে যোগাযোগ করেও খাদ্য সহায়তা পাননি লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত এক বাংলাদেশী প্রবাসী।
আজ কুয়ালালামপুর হাইকমিশনের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজের এসব বিরুপ মন্তব্যের উত্তর হিসেবে একটি বিশেষ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিটি হুবহ নিচে তুলে ধরা হলঃ-
করোনা ভাইরাস (COVID-19) প্রতিরোধে মালয়েশিয়া সরকার কর্তৃক জারি করা মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার (MCO) এর কারণে কাজকর্ম বন্ধ করে নিজ নিজ আবাসস্থলে অবস্থান করতে হচ্ছে এবং চলাফেরা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত। এমন পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ হাইকমিশন মালয়েশিয়ায় অবস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনলাইনে 'খাদ্য চাহিদা ফরম' পূরণের আহবান
জানায়। প্রাপ্ত আবেদনসমূহ যাচাই বাছাই সাপেক্ষে ৬৫০০ জনকে খাবার সহায়তা প্রদান করার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছে এবং ইতোমধ্যে ১৮ শ'র অধিক বাংলাদেশি নাগরিকের নিকট খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে গেছে। এ পর্যন্ত কুয়ালালামপুর, পুত্রজায়া এবং সেলাঙ্গর-এর বিভিন্ন এলাকায়/ লোকেশনে অবস্থিত 'খাদ্য চাহিদা ফরম' পূরণ করা বাংলাদেশি নাগরিকের আবাসস্থল/ বাসা/বাড়িতে (দোড় গোড়ায়) এ খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। একইভাবে অন্যদের নিকট পর্যায়ক্রমে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হবে।
মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার (MCO), কঠোরভাবে চলাচল নিয়ন্ত্রণ এবং করোনা ভাইরাস (COVID -19) সংক্রমিত হবার আশঙ্কার মধ্যেই নানান নিয়ম কানুন পরিপালন করে খাদ্য সহায়তা পৌঁছাতে বিলম্ব হচ্ছে। হাইকমিশন প্রদত্ত খাদ্য সহায়তা মালয়েশিয়া সরকার কর্তৃক নিবন্ধিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বাংলাদেশি নাগরিকদের দোড় গোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছে। এ মহাদুর্যোগে এগিয়ে আসার জন্য ভলান্টিয়ারদের ধন্যবাদ।
কুয়ালালামপুরে লক ডাউন করা তিনটি ভবনে (সিটি ওয়ান প্লাজা, সেলাংগর ম্যানসন ও মালয়েশিয়ান ম্যানসন) অবস্থিত বাংলাদেশি নাগরিকদের নিকট খাদ্য সরবরাহ করা হচ্ছে এবং করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সারা পৃথিবীতে চলমান এ মহাদুর্যোগের ক্রান্তিকালে হাইকমিশন যখন প্রবাসী বাংলাদেশিদের সহযোগিতা করার ক্ষুদ্র প্রয়াস নিয়েছে তখন এসব নিয়ে বিভিন্নভাবে বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য কেউ কেউ অপচেষ্টা করছে যা খুবই দু:খজনক। যাবতীয় সীমাবদ্ধতার মধ্যে একটি সুনিয়ন্ত্রিত পদ্ধতির মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে বিধায় বিভ্রান্ত না হবার জন্য সকলকে অনুরোধ করা হলো ।
ধন্যবাদ ।।
আরও পড়তে পারেন
👇
👇
No comments