বেতন না দেয়া ও পাসপোর্ট আটকে রাখার অভিযোগে ৮ শ্রমিককে ৮৫ হাজার রিঙ্গিত জরিমানা প্রদানের নির্দেশ দিল আদালত


কুয়ালালামপুরের একটি ক্লিনিং সার্ভিস কোম্পানির মালিক অবশেষে ১ মাস পরে ৮ জন শ্রমিকের পাসপোর্ট আটকে রাখা এবং বেতন না দেয়ার অভিযোগে জরিমানা প্রদান করতে বাধ্য হয়।

জানা যায় নিয়োগকর্তা বা মালিক তাদের পাসপোর্ট আটকে রাখে ও শ্রমিক আইন পরিপন্থী কাজ করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছিল।  ঐ আটজন শ্রমিকের নিজ দেশে পাঠিয়ে দেয়ার আগেই তাদের নগদ ৮০ হাজারেরও বেশি মালয়েশিয়ান রিংগিত প্রদান করে মালিক পক্ষ।

গত ৫ই ফেব্রুয়ারী সেমেনিয়েহ ডিটেনশন ডিপোতে মালিকের বিরুদ্ধে বিচারিক কার্যের একটি শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুনানিতে সর্বমোট ৮৫ হাজার ১০০ রিঙ্গিত প্রদানের জন্য  একটি আদেশ জারি করা হয়।পরে ঐ শ্রমিকদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে মালিকের স্বাক্ষরিত আদেশ জারির পত্রে ৮৫,১০০ রিঙ্গিত বেতন প্রদানের খবর নিশ্চিত করে সেলাঙ্গর প্রদেশের লেবার ডিপার্টমেন্ট বা শ্রম বিভাগ।

শ্রম বিভাগ সুত্রে আরও জানানো হয় যে, ইন্দোনেশীয় দূতাবাসের মাধ্যমে সম্পূর্ণ অর্থ প্রদান করা হয়েছে এবং শ্রমিকেরা তাদের প্রাপ্য মজুরী পেয়েছে তা নিশ্চিত করা হয়।
গত ১৩ই জানুয়ারী ক্লাং শ্রম বিভাগের অফিসে দায়ের করা একটি মামলায় ২২,৫০০ রিঙ্গিত বেতন প্রদানের দাবী সমঝোতার বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল।

এ বিষয়ে ইন্দোনেশিয়ান দূতাবাসের শ্রম সংযুক্তি বুধী হিদায়াতের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা নিশ্চিত করেছেন যে শ্রম দফতরের সুবিধার্থে মধ্যস্থতার মাধ্যমে অবৈতনিক মজুরির জন্য তাদের দাবি সমাধান করা হয়েছে।

 সেই আটজন শ্রমিকের সাথে কুয়ালালামপুর থেকে জাকার্তা যাওয়ার একটি ফ্লাইটে তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে দূতাবাসের এক কর্মকর্তা দায়িত্বে ছিলেন৷
জাকার্তা থেকে, তাদের নিজ নিজ শহরে ফেরত পাঠানোর জন্য তাদের সাথে নিরাপত্তার দায়িত্বে একজন কর্মকর্তা নিযুক্ত করাটা একয়াতি উপযুক্ত পদক্ষেপ ছিল।

 গত মাসে মালয়েশিয়ার সংবাদ মাধ্যম মালয়েশিয়াকিনি জানিয়েছিল যে এই সংস্থার চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার, ৪১ বছর বয়সি তেওহ জিওক হিং, পাসপোর্ট আইন ১৯৬৬ এর ধারা ১২ (১) (চ) এর অধীনে আটটি অভিযোগের জন্য বিচার দাবি করেছেন।

 প্রসিকিউশন ঐ আটজন কর্মীকে ইমিগ্রেশন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করার আদেশ দিয়েছিল এবং তাদের নিজ দেশে ফেরত যাওয়ার ফ্লাইটের দিন পর্যন্ত ইমিগ্রেশন ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখা হয়েছিল।

 বুধি আরও ইঙ্গিত করেছিলেন যে, ক্লিনিং সার্ভিস বা পরিচ্ছন্নতার পরিষেবা কোম্পানিটিতে থাকা অন্যান্য কর্মীদের স্বার্থ রক্ষার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দূতাবাস শ্রম বিভাগের সাথে একত্রে কাজ করবে।

 বিশেষত আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে তাদের বেতন মজুরি যথাযথ হবে অর্থাৎ শ্রম আইন অনুযায়ী সঠিকভাবে বন্টন করার পাশাপাশি ওভারটাইম এবং অন্যান্য আনুষাঙ্গিক সুবিধাসমূহ নিশ্চিত করার বিষয়ে তদারকি করা হবে৷

No comments

Theme images by Dizzo. Powered by Blogger.