ইতালি ফেরত মালয়েশিয়ার নাগরিকের মাধ্যমে আবারও ৩য় ধাপে মহামারী রুপ নিতে পারে কোভিড-১৯ বলেছেন স্বাস্থ্য মহাপরিচালক

মালয়েশিয়ার নাগরিকদের কাছে জাতীয় বীর খ্যাত
দাতুক ডাঃ নূর হিশাম আবদুল্লাহ গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন,

স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় ইতালি থেকে আসা একজন ব্যক্তিকে পর্যালোচনা ও গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করার পর বুঝতে পারে যে লোকটির মাধ্যমে আরেকটি ধাপে আক্রান্ত হতে পারে বেশ কিছু লোক। স্বাস্থ্য মহাপরিচালক বলেন ঐ ব্যক্তিটি হলেন ১৫৮০ নাম্বার আক্রান্ত রোগী যিনি বেশ কিছু মানুষের সংস্পর্শে গিয়েছেন।

তবে ঐ আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে যাওয়া লোকগুলিকে টেস্ট করার পর প্রায় ৩৭ জনের কোভিড -১৯ পজিটিভ ধরা পড়েছে যার মধ্যে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং  মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে এবং ১জন নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে একটি গুরুতর অবস্থায় আছেন।

গতকাল রবিবার (৫ এপ্রিল) সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছিলেন, “এই আক্রান্ত এই গোষ্ঠীর তৃতীয় প্রজন্মের মধ্যেও সংক্রমণ রয়েছে। তবে আমরা এর জন্য আরও তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি এবং পুরো গোষ্ঠীকে চিহ্নিত করতে পেরেছি। আর চলমান লকডাউন বজায় থাকলে এই ক্লাস্টারটির মাধ্যমে খুব বেশি আক্রান্ত ঝুকি নেই তবে তা এখনো পরিস্কার করে বলা সম্ভব হচ্ছেনা।

আরও পড়তে ক্লিক করুন👇

সিঙ্গাপুরে কয়েক হাজার বাংলাদেশীর জীবন ঝুঁকিতে, গাদাগাদি করে থাকার ফলেই ৭৪ বাংলাদেশী আক্রান্ত।
👇
বড় শ্রমবাজারগুলোর কয়েকটি দেশ অবৈধ কর্মীদের ফেরত পাঠিয়ে দিবে। বিপদে লক্ষ শ্রমিক, বিপদে বাংলাদেশ।
👇
লকডাউনে জেলে পাঠানো হবে না, গ্রেফতার করেই শাস্তি দেবে পুলিশ, মন্ত্রী পর্যায়ের বিশেষ কমিটির আলোচনা। ঘোষণা আসছে শীঘ্রই
 ডাঃ নূর হিশাম জনসাধারণকে উদ্দেশ্য করে বলেন,  যে কোনও দেশে ভ্রমণ ইতিহাস বা সমাবেশে যোগ দেওয়ার রেকর্ড বা কোভিড -১৯ এ আক্রান্ত রোগীর সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ থাকার তথ্য থাকলে তারা যেন না লুকায়, দেশের স্বার্থে, নিজের স্বার্থে এটা যেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে। বাইরের দেশগুলো থেকে আসা লোকজনের মাধ্যমে দেশে ৩য় ধাপে সংক্রমণ ঘটাতে পারে যা নিয়ন্ত্রণের বাইরেও চলে যেতে পারে বলে জানান তিনি।

সুতরাং, এমসিও চলাকালীন বিদেশ থেকে যে কেউ ফিরে আসার তাকে পৃথক পৃথক কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্রগুলিতে পর্যবেক্ষনে রাখা হবে।

No comments

Theme images by Dizzo. Powered by Blogger.