লকডাউনে জেলে পাঠানো হবে না, গ্রেফতার করেই শাস্তি দেবে পুলিশ, মন্ত্রী পর্যায়ের বিশেষ কমিটির আলোচনা। ঘোষণা আসছে শীঘ্রই

চলমান মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার বা গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ আদেশ জারি হওয়ার পর থেকে মালয়েশিয়ার পুলিশ এখনো পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৫ হাজার গ্রেফতার করেছে।
এর মধ্যেই ২ হাজারের বেশি অপরাধীর সাজা হয়ে জেলে বন্দী রয়েছেন। সম্প্রতি নতুন বন্দীদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার ফলে, জেলে থাকা পূর্বের বন্দীদের


জীবন হুমকিতে পড়েছে বলে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন দাবী করেছেন। কারণ একজন সুস্থ মানুষের শরীরে করোনা ভাইরাস থাকতে পারে এবং নতুন বন্দীরা যদি এই ভাইরাস নিয়ে জেলে প্রবেশ করে পুরো জেলখানার পরিণতি ভয়ংকর হবে বলে জানিয়েছেন মানবাধিকার সংগঠন গুলো। বিষয়টি পুলিশ এবং সরকারের তরফ থেকে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সিনিয়র প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকুব।

 লকডাউন আইন লংঘনকারীদের কারাদন্ডের বিষয়ে এটর্নি জেনারেল, রয়েল মালয়েশিয়া পুলিশ এবং কারাগার কর্তৃপক্ষের সাথে বৈঠক করা হয়েছে। সিনিয়র মন্ত্রী (প্রতিরক্ষা) দাতুক সেরি ইসমাইল সাবরি ইয়াকোব বলেছেন, আজ মন্ত্রীদের বিশেষ কমিটির বৈঠকে এম'সি'ওর বিষয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আজকের বৈঠকে অ্যাটর্নি জেনারেল, পিডিআরএম এবং কারা অধিদফতরকে তাৎক্ষণিক সমাধানের জন্য বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার বিষয়ে একমত হয়েছেন, উক্ত বিশেষ সভার সভাপতিত্ব করার পর তিনি একথা বলেন।

এদিকে কারা অধিদফতর গতকাল এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল যে, আদালত এম'সি'ও বা লকডাউন লঙ্ঘনকারী অপরাধীদের উপর জরিমানা আরোপ করা বন্ধ করতে বলেছে আর এই এই পদক্ষেপের ফলে কারাগারের ভিড় বাড়বে এবং পাশাপাশি কারাগারে কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যাবে।

এর পরে, প্রধান বিচারপতি তান শ্রী টেংকু মাইমুন তুয়ান ম্যাট দোষী সাব্যস্ত হলে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে দেওয়ার ঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য বিচার বিভাগকে আহ্বান জানান। তিনি এম'সি'ওর  অপরাধীদের আদালতের মাধ্যমে কারাভোগের সাজা না দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে বিভিন্ন সাজা দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন

এদিকে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে রাস্তায় ভুমিহীন ও হোমলেস মানুষগুলো কুয়ালালামপুর শহর ঘুরে বেড়াচ্ছে যাদের কেউ নেই এবং তারা আক্রান্ত হয়ে ভাইরাস সংক্রমণ ঘটাতে পারেন বলে অভিযোগ করা হয়। কিন্ত

প্রকৃতপক্ষে, ঘরবাড়ি ছাড়া, ভুমিহীন লোকদের পুনর্বাসনের জন্য ডিবিকেএল ইতিমধ্যে ৩টি আশ্রয় কেন্দ্রে তাদের বসবাসের ব্যবস্থা করেছেন।

এইধরনের খবর মিথ্যা, এই অভিযোগের ভিত্তি নেই দাবী করে বলেন তিনি, তাদের পুনর্বাসন সহ তাদের ৩ বেলা খাবারের ব্যবস্থা ও প্রয়োজনীয় ওষুধ পথ্যসহ সকল সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে।

No comments

Theme images by Dizzo. Powered by Blogger.