ইমিগ্রেশন সদস্যদের উপর হামলাকারীরাও ইমিগ্রেশনের বিরুদ্ধে পাল্টা পুলিশ রিপোর্ট দায়ের করেছে


গতকাল কুয়ালালামপুরের বাতু কেভসের ঘটনায় ইমিগ্রেশন এর করা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

কুয়ালামাপুরের গোম্বাক জেলা পুলিশ প্রধান সহকারী কমিশনার আরিফাই তারাউই জানিয়েছেন, তিনি আজ দুপুর ২টা ১৫ মিনিট থেকে ২ টা ৩০ মিনিটের মধ্যেই উভয় পক্ষ থেকে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ এনে পুলিশের নিকট

 মামলা দায়ের করা হয়েছে। উভয় পক্ষই আজ বিকেলে এই ঘটনার বিষয়ে ইতিমধ্যে জানিয়েছে। এই দাঙ্গা হাঙ্গামা নিয়ে তদন্ত চলছে, বলে জানান তিনি। সমস্ত প্রমান এবং তথ্য উপাত্ত সেলাঙ্গর ইমিগ্রেশন বিভাগ এর সদস্যদের এবং জনসাধারণের কাছ থেকে নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

আরিফাই জানান, ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা ও সদস্যগণ একসাথে অংশ নিয়ে বাতু কেভে গিয়ে অভিযান পরিচালনা করার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। অভিযান চলাকালীন সময়ে একজন অফিসার যখন একজন অবৈধ বিদেশীকে নাগরিককে গ্রেপ্তার বা আটক করার চেষ্টা করছিলেন, তখন হঠাৎই একজন স্থানীয় নাগরিক ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা ও সদস্যদের উদ্দেশ্য করে উস্কানিমূলক আচরণ করতে শুরু করে। মুহুর্তে মধ্যেই ঐ স্থানীয় নাগরিক আরও বেশ কিছু সাধারণ জনগণকে একত্রিত করে ফেলেন। তারা ইমিগ্রেশন সদস্যদের ঘিরে ফেলে এবং তাদের উদ্দেশ্য করে উস্কানিমূলক কথাবার্তা বা ধাক্কাধাক্কির মত আচরণ শুরু করে যেন উক্ত অভিযানটি সফল না হয় বা বন্ধ হয়ে যায় বলে জানান তিনি।

 বাতু কেভের ঐ অভিযানের দায়িত্বে থাকা প্রধান কর্মকর্তা অপারেশনটি বন্ধ করে মন্দিরের এলাকাটি ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন যাতে করে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে ও দাঙ্গা হাঙ্গামাটি যেন প্রবলভাবে রুপ না নেউ।।

জনসাধারণকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে, বিভিন্ন বর্ন বা সম্প্রদায়ের প্রতি সংবেদনশীল বিভিন্ন মিথ্যা খবর ছড়িয়ে মানুষকে যেন বিভ্রান্তিতে না ফেলে।
তিনি আরও  বলেন, "দন্ডবিধির ১৮৬ ধারা এবং দন্ডবিধির ৫০৬ ধারায় মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে।"

 বাতু কেভসের স্বামী সুব্রমনির মন্দিরের নিকটে একটি ব্যবসায়িক সাইটে এই ঘটনা ঘটেছিল বলে অভিযোগ করা হয়, যখন সেলেঙ্গর ইমিগ্রেশন বিভাগের ৫০ জন কর্মকর্তা ও সদস্য ভারত ও পাকিস্তানের অবৈধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছিলেন।

 সূত্র: ডেইলি মেট্রো

No comments

Theme images by Dizzo. Powered by Blogger.